ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

চলছে যা তা -বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী


 

গড়পড়তা সাধারন মানুষ, এখন সাধারনের

স্তর থেকে নেমে এসে আরও সাধারন;

আর কত নামতে হবে, একেবারে তলানিতে?

চাপ, চতুর্দিকে চাপের পাহাড়, কিন্তু ঠেলতে হবে

তাতে কি হবে? না অস্তিত্ব রক্ষা..........

 

আচ্ছা স্বচ্ছ প্রশাসন, দুর্নীতি মুক্ত সরকার 

আর নাগরিক অধিকার, কে দেবে?

 

কে দেবে শিশুর ভবিষ্যৎ, এ নিয়ে রাষ্ট্রের কোন

মাথাব্যাথা নেই। ভোটার তালিকায় নাম আছে

কিনা, আধার কার্ড হয়েছে কিনা এসব প্রশ্নের

চেয়ে, নাগরিক হবার পর আবার ভবিষ্যৎ?

 

ওসব শুধু এলেমদার মা- বাবার, ভেলকি 

দেখাতেই হবে। তবে হবে শিশুর ভবিষ্যৎ।

 

রাষ্ট্রের দায় শুধু দেখা নাগরিকরা ভোটাধিকার

প্রয়োগ করছেন তো!

 

কোন গোলমাল নয়, শান্তি বজায় রেখে

ভবিষ্যৎহীন জীবন কাটাতে পারাই এখন ক্রেডিট।

 

 

দুঃস্বপ্ন ‌দেখে যদি রাতের ঘুম উড়ে যায়,

ডাক্তার দেখিয়ে কড়া ঘুমের ওষুধ খেয়ে 

নিদ্রা যাও, কোন ঝামেলা নেই।

কেউ জানতেই চাইবে না কোন দুঃস্বপ্ন তোমার

রাতের ঘুম কেড়ে নিলো।

 

আর হয়েছে কার্ড, এদেশে হাজার রকম কার্ড

ছাড়া তুমি আমি বাঁচতেই পারব না।

 

শুধু কার্ড করেই নিষ্কৃতি নেই, চাই নিয়মিত 

রিনিউয়াল।

 

ব্যাঙ্ক উঠে যাবে, সুদের পাত্তা নেই, পোষ্টাপিস

থাকা না থাকার নামান্তর।

 

স্কুল কলেজে ভর্তি হতে চাই মোটা টাকার ডোনেশন।

 

কাটমানি না হলে কোন কাজ এগোবে না, পাচার

এখন অনেক রকম। মানুষ থেকে গরু, টাকা 

থেকে কয়লা, বালি থেকে পাথর, কি নেই

পাচারের তালিকায়?

 

পড়াশুনো এখন অনলাইনে, শিক্ষকের অনুশাসন নেই, স্নেহ- ভালোবাসার স্পর্শ নেই,

ছাত্র সমাজ আর শিক্ষক সমাজের মধ্যে সম্পর্ক প্রায় না থাকার মতো।

 

 

বিনোদন এখন অবনমন, খেলাধূলো নিয়ে সময়

কাটানোর চেয়ে পরনিন্দা পরচর্চা বেশি।

 

মেয়েদের নেই অন্দরমহল, পুরুষের সমকক্ষ হতে গিয়ে মহিলা মহল উধাও।

 

এখন যা চলছে তা হচ্ছে যা তা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ