তোমরা কি
বিষ পান করছ মৃতদের হাহাকার নিয়ে, পথের আলো কি ঝিমিয়ে পড়েছে এই অরণ্য আর
উন্মাদ সুষুম্নার পিপাসায় –কেন যে হঠাৎ রাধাচূড়ার কাছে গেলে থমকে যায় অস্তিত্ব–
এখন আকাশে কোনো পাখি নেই
এখান থেকেই সুরু সঙ্গম ও ছায়াপথ ; সমস্ত বৃষ্টির বৃত্তাকারে ফুটতে থাকে আত্মহননের কোকিল কামড়, ধীরে ধীরে সাদা পালক খসে পড়ে এবং পিচ্ছিল সাপের মতো ঝরতে থাকে গাছ-গাছালির পাতা, হারিয়ে গেল প্রখর নীলের ফোকাস কেন্দ্র
শূন্যতা
হে, অনুচ্চারিত কান্নার আবর্তে কেবল
মস্তকহীন কনিষ্ক – কয়েকটি ঘৃত প্রদীপের নীরব জ্বর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে মন্থর
শঙ্খচিল, পৃথিবীর তামাম শব্দের মতো কী অসীম
ছায়ায় পতঙ্গরা ওড়ে যাচ্ছে প্রলুব্ধ আগুনের দিকে
যেতে যেতে
বুকে জ্বলেছে পূর্ণাহুতির পঞ্চবর্গ ।
0 মন্তব্যসমূহ