ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

উৎস, মে ২০২১


উৎস, মে ২০২১


রবীন্দ্রনাথের ৭০ বছর পূর্তিতে মানপত্রে শরৎচন্দ্র লিখেছিলেন, "হাত পাতিয়া জগতের কাছে আমরা নিয়েছি অনেক, কিন্তু তোমার হাত দিয়া দিয়াছিও অনেক।" এই হলেন আমাদের রবীন্দ্রনাথ। যিনি শুধু কবি নন নাট্যকার নন, গীতিকার নন, প্রাবন্ধিক নন, কেবল দার্শনিকও নন। তিনি আস্ত একটা রবীন্দ্রনাথ, তার সাপেক্ষে অন্য কারোর তুলনা চলে না, কারণ তিনি একটা গোটা সমুদ্র, যে সমুদ্রে আছে শত শত উজ্জ্বল ঢেউ। 

১৩০২ বঙ্গাব্দে তিনি লেখেন,

আজি হতে শতবর্ষ পরে 

কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি

কৌতূহলভরে--

তিনি চেয়েছিলেন মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে। তাঁর লেখায় তিনি জনসাধারণকে ঈশ্বর রূপে ব্যাখ্যা করে তাদের উন্নতিসাধন করতে  শিখিয়েছেন। দুর্ভিক্ষ, অত্যাচার, দেশভাগ পেরিয়ে যে সাধারণ জনগণ আজ অতিমারি  পরিস্থিতিতে লাঞ্ছিত, অবহেলিত সেই জনসাধারণের সেবা করলে তবেই রবীন্দ্রনাথের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হবে। শুধু মাত্র ২৫ শে বৈশাখে রবি ঠাকুরের মূর্তি বা ছবিতে সৌরভ মালা না চড়িয়ে যদি একে অপরের হাত ধরে সকল অন্ধকার দূরে ঠেলে দিয়ে আলোর সন্ধান করা যায় তাতে হয়তো তিনি বেশি খুশি হবেন। 

অতঃপর আমরা রবীন্দ্রনাথের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কেবল বলতে পারি

তোমারে রাখি যে বাঁধিয়া

হে রবি, এমন নাহিকো আমার বল।

তোমা বিনা তাই ক্ষুদ্র জীবন কেবলি অশ্রুজল।






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ