
য
খন লেখালিখি শুরু করেছিলাম, তখন সোশ্যাল জগৎ বলতে ছিল - 'অর্কুট'। প্রচলিত
ছিল 'এম. এম. এস.'। স্মার্ট হয়ে ওঠেনি তখনো পকেটের সেলফোনগুলি। কোনো পত্রিকায়
লেখা ছাপাবার জন্য পাঠাতে হলে মাধ্যম ওই একমাত্র ডাকযোগ। লেখা মনোনয়ন হলো
কিনা তাও জানা যেত ডাকযোগেই। তাই প্রতিদিন পিওন যাওয়ার সময় বাড়ির গেটের কাছে
দাঁড়িয়ে থাকতাম - কোনো চিঠিপত্র এলো কিনা সেই অপেক্ষায়। অনেক পত্রিকা এমনও
ছিল, যাদের সম্পাদক মনোনয়ন চিঠি না পাঠিয়ে বুকপোস্ট করে একবারে পাঠিয়ে দিতেন
পত্রিকা। এদিকে তখন নিয়মিত সাহিত্য চর্চা, সাহিত্য আড্ডা চলতো, আর সেইসব
আড্ডায় বহুল প্রশংসা পাওয়া লেখাগুলোই পাঠিয়ে দিতাম বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়।
তারপর দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পরেও যখন, না পত্রিকা, না কোনো মনোনয়ন পত্র
পেতাম, তখন ভয়ে ভয়ে অনেক সময় কোনো কোনো পত্রিকার সম্পাদককে কল করে জানতে
চাইতাম, লেখা মনোনীত হলো কিনা- সরাসরি বা ঘুরিয়ে। আর যেসব পত্রিকায় সম্পাদকের
সাথে ফোনে আলাপ সম্ভব ছিলোনা, সেগুলির জন্য চলে যেতাম সোজা কলেজ স্ট্রিট অথবা
পত্রিকা বিপণন দপ্তরে, সেখান থেকে পত্রিকা কিনেই দেখতাম সূচিপত্র। কখনো তাতে
নিজের নাম পেয়ে হতাম আনন্দিত, কখনো বা নাম না পেয়ে হতাম হতাশ। যাইহোক একটা
কথা বলা দরকার। আর সেটা হলো আমার লেখার জীবন নিয়ে লেখা, আমার আজকের আলোচ্য
বিষয় নয়; কিন্তু ভূমিকায় এই কথাগুলো না বলে মূল বিষয় নিয়ে লেখা শুরু করে দিলে
কেমন কাঠ কাঠ লাগতো, বড়ো 'টু দি পয়েন্ট ' হয়ে যেত লেখাটা। যাইহোক লেখালিখি
চলছে, চলছে সাহিত্য আড্ডা, সাহিত্যসভা ইত্যাদি। এমনি একদিন এক সাহিত্য আড্ডায়
হঠাৎ শুনলাম, আমার অগ্রজ ও অনুসরণীয় কবি জগন্ময় মজুমদার তথা জগন্ময় স্যারের
লেখা একটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে একটি অনলাইন ম্যাগাজিনে। জগন্ময় স্যার
সহ আমরা বাকিরাও সবাই অবাক, অনলাইন ম্যাগাজিন, সেটা আবার কিরকম ম্যাগাজিন!
সবাই জিজ্ঞাসা নিয়ে আমার কাছেই জানতে চাইলো। কারণ তখন সেখানে লেখালিখি করার
পাশাপাশি আমিই একমাত্র মানুষ যে কম্পিউটার শিক্ষায় শিক্ষিত। কিন্তু সত্যি
বলতে অনলাইন ম্যাগাজিন সম্পর্কে তখনো আমার তেমন কোনো ধারণা ছিলোনা। জগন্ময়
স্যারের কাছে বিষয়টা বিশদে জানতে চাইলাম, স্যার বললেন, তার একজন ছাত্র যিনি
ব্যাঙ্গালোরে কর্মরত তিনি পুজোর ছুটিতে বাড়িতে এসে স্যারের সাথে দেখা
করেন এবং স্যারের কাছ থেকে একটি কবিতা নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই কবিতাই নাকি
প্রকাশিত হয়েছে, 'কৌরব' নামে একটি অনলাইন পত্রিকায়। সে পত্রিকা কোনো কাগজে
মুদ্রিত পত্রিকা নয়। সে পত্রিকা পড়তে গেলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে গুগল এ গিয়ে
সেই পত্রিকার নাম ও নির্দিষ্ট সংখ্যা লিখে খুঁজে তবে পড়তে হয়। জগন্ময় স্যার
আমায় বলেন, আমি যেন সে পত্রিকাটি পড়তে এবং স্যারের ছাপা হওয়া লেখাটি তাকে
দেখতে সাহায্য করি, কারণ তিনি সেসব ব্যাপারে অতটা পারদর্শী নন। সেইমতো আমিও
তাকে নিয়ে যাই, যেখানে আমি কম্পিউটার শিখতাম সেখানে। আর সেখানে গিয়েই সেই
পত্রিকা ও স্যারের লেখাটি স্যার কে পড়াই ও নিজেও পড়ি। সেই আমার প্রথম পরিচয়
কোনো 'ই- ম্যাগাজিনে'র সাথে। যা আমার আজকের আলোচনার মূল বিষয়। আরো ভেঙে ও
সরাসরি বলতে গেলে বলতে হয়, তেমনি একটি 'ই-ম্যাগাজিন' - "উৎস" আমার এই আলোচনার
মূল বিষয়।
সেই সময় থেকে শুরু করে অনেক দিন পর্যন্ত অনেক মিশ্র অনুভূতি আমার মনের
গভীরে ছিলো জাগ্রত। যেমন প্রথমত, আমার খুব কাছের ও পরিচিত একজন মানুষ তার
লেখনীর ক্ষমতায় জায়গা করে নিয়েছে- বিশ্বের দরবারে, ইন্টারনেটে। যেটা ভীষণ
গৌরবের। দ্বিতীয়ত, এমন যদি আমিও লিখতে পারতাম! কিংবা আমিও কি পারি এমন
লিখতে যে আমার লেখাও প্রকাশিত হবে নেট দুনিয়ায়- বিশ্ব দরবারে! কিন্তু
কিভাবে? কিভাবে পাঠাতে হবে লেখা, নিজেকে পরখ করার জন্য? কাকে পাঠাতে হবে?
বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা পাঠাবার ব্যাপারে জগন্ময় স্যার আমায় পথ দেখালেও,
ই-ম্যাগাজিনে কিভাবে লেখা পাঠাবো সে বিষয়ে তিনি আমায় বিশেষ কোনো সাহায্য
করতে পারেননি। কারণ তিনি নিজেও সে বিষয়ে তেমন জানতেন না। তাই সুপ্ত একটা
ইচ্ছে থাকলেও উপায় কিছুই পেলাম না - কোনো ই-ম্যাগাজিনে লেখার। শুধু একটা
স্বপ্ন হয়ে রইলো বিষয়টি। এরপর একসময় মনে হলো, কি হবে এমন ই-ম্যাগাজিনে
লিখে! যে ভারতে তথা যে বাংলায় মানুষজন কম্পিউটারই জানেনা, সেখানে
ই-ম্যাগাজিন খুঁজে আমার লেখা ক-জনই বা পড়বেন। তবুও মুদ্রিত পত্রিকা হলে
চেনা পরিচিত অনেককেই বা প্রায় সবাইকেই দেখাতে বা পড়াতে পারবো সেসব লেখা,
কিন্তু ই-ম্যাগাজিন...? - এটা ছিল আমার তৃতীয় অনুভূতি। এভাবেই দিন এগোতে
লাগলো, এগোতে লাগলো প্রযুক্তি, স্মার্ট হতে লাগলো পকেটের সেলফোনগুলি দিন
দিন। মানুষ ভুলে যেতে লাগলো বই পড়া। মানুষের নির্ভরতা ও অভ্যাসে পরিণত হতে
লাগলো স্মার্টফোন ও ডিজিটাল দুনিয়া। বাজারের ট্রেন্ড বা ঝোঁক বা সমসাময়িকতা
বজায় রাখতে, আমাকেও বেছে নিতে হলো- এন্ড্রোয়েড, ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, তথা
ডিজিটাল দুনিয়া কে। সাহিত্যচর্চা, সাহিত্য আড্ডা, যোগাযোগ সবই চলতে থাকলো
ডিজিটাল মাধ্যম গুলিকে নির্ভর করে। প্রাপ্তি, পাওনা, সম্মান, নাম সবই পেলাম সময় উত্তর সময়। কিন্তু ই-ম্যাগাজিন থেকে গেলো অধরা ও
অপূর্ণ এক স্বপ্ন হয়ে, এটা মনের চতুর্থ ও শেষ অনুভূতি।
আজকাল যখন দেখছি, মানুষ ডিজিটাল দুনিয়ায় মগ্ন, মুদ্রিত পত্রপত্রিকা পড়া তো
দূরের কথা, বিখ্যাত উপন্যাস, গল্প, কাব্যগ্রন্থ এমনকি পড়ার বই অবধি মানুষ
পড়তে ব্যবহার করছে ইন্টারনেট; এতে যেমন মানুষের খরচ বাঁচছে, তেমনি
বাঁচছে সময় - ভালো বইয়ের খোঁজ করা, কেনা এসবের জন্য আর সময় নষ্ট করতে হচ্ছে
না মানুষ কে, এমনকি বই পড়ার মতো স্থান, কাল, পাত্র -ও খুঁজতে হচ্ছে না মানুষ
কে, তাই ইন্টারনেট ও ডিজিটাল দুনিয়ার দিকে ঝোঁক বাড়াটাই স্বাভাবিক মানুষের।
আর ঠিক তখনই ভীষণভাবে মনে হয় লেখালিখি করার জন্য একটা ভালো ডিজিটাল প্লাটফর্ম
তথা ভালো ই-ম্যাগাজিনে লেখালিখি অত্যন্ত জরুরী। শুরু হলো খোঁজ। আর খুঁজলে
নাকি মানুষ ঈশ্বরকেও পেয়ে যায়, সেখানে এই 'ফাইভ জি' যুগে একটা ভালো
ই-ম্যাগাজিন পাবো না, সেটা আবার হয় নাকি! প্রথমেই খুঁজলাম, সেদিনের সেই প্রথম
চেনা ই-ম্যাগাজিন কে - দেখলাম বেশ অনিয়মিত। তারপর খুঁজতে খুঁজতে একদিন হঠাৎ
চোখে পরলো - 'উৎস ই-ম্যাগাজিন'।
উৎস - এর সাথে পরিচয় হলো, অক্টোবর ২০২৩... পুজোর সময়। বিভিন্ন পত্রিকায় শারদ
সংখ্যার জন্য লেখা পাঠাচ্ছি, ঠিক এমন সময় একটি ফেসবুক গ্রুপ (খোঁজ)- এ দেখতে
পেলাম- উৎস ই-ম্যাগাজিনের একটি বিজ্ঞাপন, লেখা আহ্বান করে। প্রথমেই আমি গুগল
থেকে 'উৎস ডট কো ডট ইন' (utso.co.in) - এ
গিয়ে দেখি পত্রিকার ধরণ। কী ধরণের লেখা প্রকাশ পায় তাতে! পত্রিকাটি নিয়মিত,
নাকি অনিয়মিত! লেখার বিভিন্ন বিভাগ! কিভাবে পাঠানো যায় লেখা! ইত্যাদি সব দেখে
শুনে, লেখা পাঠালাম - একটি কবিতা। ১২ই অক্টোবর ২০২৩ তারিখে দেখলাম একটি ইমেল
মারফত উৎস -এর পক্ষ থেকে (সম্পাদক প্রীতম দত্ত কর্তৃক) একটি লিংক যাতে
লেখক সূচি ছিল তা
আমায় পাঠানো হলো। সূচিপত্রে নিজের নাম পেয়ে দারুণ আনন্দিত হলাম সেদিন। তারপর
অপেক্ষাতে থাকি, খুব বেশিদিন নয় দু'দিন পরেই সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১৫ই
অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে পূর্বঘোষিত নির্দিষ্ট সময়ে
প্রকাশ পেলো পত্রিকা। প্রকাশিত হলো আমার লেখা, প্রথম কোনো ই-ম্যাগাজিনে। পূরণ হলো বহুদিনের সেই
স্বপ্ন, সেই অধরা স্বপ্নই যেন ধরা দিলো 'ই-ম্যাগাজিন উৎস' রূপে। এবার লেখাতো
প্রকাশ পেলো, কিন্তু এই ই-ম্যাগাজিনের গুণগত মান কেমন? সেই প্রথম দেখা
ই-ম্যাগাজিনের মতো, নাকি আরো ভালো, নাকি ততটা ভালো নয়? সে যাইহোক পড়ে দেখলেই
তো বোঝা যাবে। শুরু হলো নিয়মিত লেখা ও পড়া - 'ই-ম্যাগাজিন উৎস'।
সেই অক্টোবর ২০২৩ থেকে নিয়মিত লিখছি উৎস তে। নিয়মিত পড়ছি। প্রত্যেকটি সংখ্যা
ভালোও লাগছে বেশ নিয়ম মেনেই। আর সেই ভালো লাগাগুলি জমে জমে ক্রমে রূপান্তরিত
হলো এই লেখায়,
উৎস ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সংখ্যা পড়ার পর। শুধু
ভালো লাগা মন্দ লাগা বলেই ছেড়ে দিতে পারতাম। কিন্তু মনে হলো, সেটা পাঠক
হিসেবে প্রথমত নিজের দায় এড়িয়ে যাওয়া হবে এবং দ্বিতীয়ত, একটি মহৎ কর্মকান্ডকে
করা হবে অবহেলা। তাই কলম ধরে লিখতে বসা।
উৎস ই-ম্যাগাজিন ভালো লাগার প্রথম কারণ হলো, পত্রিকাটি বেশ সুশৃঙ্খল,
নিয়মানুবর্তী। যে কোনো মাসের ৯ তারিখ থেকে
লেখা গ্রহণ শুরু হয়, পরবর্তী মাসের
১২ তারিখে লেখক বা বলা ভালো শিল্পী সূচি প্রকাশ পায় এবং ১৫ তারিখে প্রকাশ
পায় পত্রিকা। ভালো লাগার দ্বিতীয় কারণ, সম্পাদক এই স্বল্প সময়ে, লেখা
মনোনয়ন, ওয়েব পেজ'টির পরিচর্যা, পরিশীলন, সম্পাদনার পাশাপাশি, ইমেল
মারফত বা
হোয়াটস্যাপ গ্রুপে
নিয়মিত ও সংবেদনশীল ভাবে লেখক বা পাঠকের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে
থাকেন ধৈর্য্য সহকারে। কোনো অহেতুক বাড়তি কথার ভিড় থাকেনা হোয়াটস্যাপ
গ্রুপেও। এটা সম্পাদকের সুস্থ ব্যবস্থাপনার নিদর্শন। ভালো লাগার তৃতীয় কারণ,
একটি সম্পূর্ণ পত্রিকা যাতে আছে সমস্ত স্বাদের শিল্প চর্চা।
কবিতা,
ধারাবাহিক,
গল্প,
চিত্র,
আলোক চিত্র, শব্দছক। সব ধরণের
মানুষ তাই পছন্দ করতে বাধ্য এই 'ই-ম্যাগাজিন উৎস' কে। চতুর্থত ও সবচেয়ে বড়ো
কারণ পত্রিকাটি ভালো লাগার - প্রত্যেকটি বিভাগের শিল্প সৃষ্টি গুলোর গুণগত
মান এতটাই ভালো যে, যে কোনো একটি সৃষ্টি কে কেন্দ্র করেই লিখে ফেলা যায় একটি
সম্পূর্ণ গদ্য। আর প্রতি সংখ্যাতেই উৎস তার এই মানটিকে বজায় রেখেছে বেশ নিপুণ
ভাবে। ফেব্রুয়ারী,২০২৪ সংখ্যাও তার ব্যতিক্রম নয়। এই সংখ্যার সবকটি কবিতা,
চিত্র, আলোকচিত্র, ধারাবাহিক, যেন সেরার সেরা। কিন্তু বিশেষভাবে মন কাড়লো-
ছোট গল্প 'প্রাণন'। অতি সাধারণ ভিক্ষুকদের জীবন যাত্রা নিয়ে লেখা, একটি অসাধারণ গল্প।
গল্পকার যেন জীবন্ত অভিজ্ঞতা থেকে ও কল্পনা মিশিয়ে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন
গল্পের চরিত্র, বিষয়, বলা ভালো সমগ্র গল্পটিকে। যেন চোখের সামনে ঘটে গেলো
সবটা। এছাড়াও বেশ ভালো লাগা কয়েকটি কবিতা যা স্মৃতিতে থেকে যাবে অনেক দিন -
'নিঃস্ব হৃদয়' , 'বিকেলের চা', 'অভিন্ন'। এবার আবারো ফিরে আসি পত্রিকা ভালো লাগার পঞ্চম কারণে, পত্রিকার একটি
বিরাট লেখক কূল রয়েছে, কিন্তু তাই বলে পত্রিকা সেই নির্দিষ্ট বা সীমিত
লেখকদের কে নিয়েই পত্রিকা প্রকাশ করছেন তেমন নয়। জাগা করে দিচ্ছেন নতুনদেরও।
তাই বলেই আবার যে যা লেখা পাঠাচ্ছেন তাই মনোনীত হচ্ছে বা প্রকাশ পাচ্ছে এমনও
নয়। এর অর্থ যেটা দাঁড়ায়, সেটাই আসলে একটি পত্রিকার বা যেকোনো পত্রিকার
আসল জীবনী শক্তি। আর সেটা হলো, নির্ভীক, নিঃস্বার্থ, সাহিত্য ও
শিল্পবোধ সম্পন্ন এক সুস্থ ও সুষ্ঠ সম্পাদনা। ষষ্ঠ ও পত্রিকা ভালো লাগার শেষ
কারণ, আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহৃত হলেও জটিলতা বর্জিত এই পত্রিকা খুবই সহজ
পাঠ্য, সরল- ব্যবহারগত দিক থেকে, ত্রুটি মুক্ত ও প্রযুক্তিগত সমস্যা বর্জিত।
বেশ ভালো।
যাইহোক ই-ম্যাগাজিন হিসেবে উৎস এখন মনের অনেকটা জুড়ে রয়েছে। একটা স্বপ্নের
ই-ম্যাগাজিন উৎস। বেশ গর্ববোধ হয় এখন উৎস তে লেখা প্রকাশিত হলে। একদিন স্বপ্ন
ছিল একটা ভালো ই-ম্যাগাজিন ও তাতে প্রকাশিত আমার একটি লেখা, উৎস সেই স্বপ্ন
পূরণের প্রথম ক্ষেত্র, অন্তত আমার জীবনে। উৎস তে প্রকাশ পেলো যেসমস্ত
লেখাগুলি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস তার মান যথেষ্ট ভালো। তাই উৎস-তে প্রকাশিত
লেখাগুলো নিয়ে একদিন একটা কাব্যগ্রন্থও প্রকাশিত হবে, এবং তা মন ছুঁয়ে নেবে
হাজার হাজার পাঠকের। এমন সাহসী স্বপ্ন আমার মতই শত শত চোখে ছড়িয়ে দিয়ে আগামীর
অনেক স্বপ্নের উৎস হয়ে দীর্ঘ পথের পথিক হোক- ই-ম্যাগাজিন উৎস।
0 মন্তব্যসমূহ