মাথার ভিতর কিলবিল করছে প্রজাপতি,
স্নায়ুর এ ডাল থেকে ও ডালে,উড়ে গিয়ে বসছে।
ওদের ডানায় লেখা 'চামচিকি অস্পৃশ্য মন্ত্র'।
পুরোহিত আত্মহত্যার গুহায় বসে,
যজ্ঞের ঘি জমাট বেঁধে শিরার মশারিতে,
যেন কোলেস্টেরল পান্থশালা।
নেশার ঘোর,সম্মোহিত বর্ণমালায়,
মাত্রার খোঁজে,ব্যাতিবাস্ত প্রহরী।
যেকোনো মতে শিরদাঁড়াকে তুলতেই হবে,
ওর স্বামীর সমকক্ষে,মিছিলের সমচিতায়।
'নীতিদাহ প্রথা' স্বাক্ষর অভাবে,সংবিধানে,
এক নয়,দুই নয়,হাজার শতক ধরে।
জামার হাতা চিবিয়ে চিবিয়ে,
ঘাম মোহে শান্ত চোয়াল,
দাঁড়িপাল্লায় স্বয়ং যমদূত।
তবে,ভেবোনা এ হিজিবিজি প্রলাপ,
কেবলই বিলাপ হয়েই পিষে যাবে,
জুতোর নীচে জাতির চাপে।
চাপ,তাপ পারবেনা ছুঁতে বর্ণমালা,
যেখানে একটাই অক্ষর 'ঈ',
যাকে একবার জুড়ে দিলে,'বিপ্লব' এ,
আমরা সবাই বিপ্লবী।
আমরা গায়ে বারুদের গন্ধ মেখেছি আজ,
সুখটানে চিনেছি স্বাধীনতা,
আর নয়,খিলানের মুখে উভমুখী হারজিত।
কেননা,আমরা যে চিহ্ন আঁকি পিঠের মাঝে,
তাতে ফোটেনো কোনো শাসক ফুল,
ফোটেনা কোনো জাতক ঝুল,
ফোটে জন্মদাগ,মৃত্যুদাগ,
আর ফোটে বিপ্লব,
শুধুই বিপ্লব...!
0 মন্তব্যসমূহ