সেইসব জ্যোৎস্নারা আর আসেনাকো এই পৃথিবীতে
প্রেমিকদের উপর অভিমান করে
ফাঁকা রাস্তায় – মাঠে – ফাঁকা ছাদে হাঁটতে
পাশাপাশি হাত ধরে প্রেমিকাদের,
দেখিনা আমি আর
হ্যারিকেনের আলোয় জ্যোৎস্নাকে চুমু খেতে ,
আঁধারের শরীরের সে রহস্যময় সুগন্ধ
পাইনা আমি আর এইসব ল্যাম্পপোস্টদের ভিড়ে
সেই বেদনায়
এইসব জ্যোৎস্নারা আর যায় না ঐ পৃথিবীতে
তোমাদের কাছে।
অট্টালিকার নিশ্ছিদ্র চালে
হলুদ জ্যোৎস্নারা আসেনা আর দরিদ্র হাসি হয়ে
রঙিন ক্লাবের লাল নীল পার্টিতে – রেস্টুরেন্টে
ফ্যাকাশে জ্যোৎস্নারা আসেনা আর নেশা করাতে
দিনের থেকেও ঝলমলে রাস্তায়
ভীত জ্যোৎস্নারা আর আসেনা ঝলসে যাবার ভয়ে,
লজ্জিত জ্যোৎস্নারা ফিকে রূপ নিয়ে
আসেনা আর এইখানে আলোকিত রাতে
এই পৃথিবীতে।
কিন্তু ঐ পৃথিবীতে
সুকান্ত পড়া জোয়ান পাগলটার
এত আলোয় ঠান্ডা শরীরের ক্ষুধার্ত ইন্দ্রিয়েরা
চকচকে চুম্বকীয় চোখেরা তাকিয়ে জ্যোৎস্নার পানে ,
বাস্তবকে ভেঙেচুরে কই সে তো পারছেনা
ঐ ঝলসানো রুটিটাকে শুধু চাঁদ ভাবতে
কোনোমতেই – সব জেনে শুনে
0 মন্তব্যসমূহ