ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

বৃষ্টি ও মফঃস্বলি - শাওন রেজা

 


নীলচে আকাশ ধূসর হল যেই,
বৃষ্টি আমার চাইছে ছুঁতে হাত,
ভিজবো ভেবেও খুলেই ফেলি ছাতা
আমায় দেখে হাসছে ফুটপাত।
 
সেই হাসিতে যাদু কি ছিল কিছু?
এক মুহূর্তে মুহূর্ত যায় থেমে —
বাসের চাকা ছেটায় না জলকাদা
ফুটপাতেরা রাস্তায় আসে নেমে
 
রাস্তা? সে তো  আমার জন্য নয়
আমার জন্য অন্ধ এঁদো গলি,
জামার বোতামে আটকানো স্বপ্নেরা
শহুরে হয়েও আদতে মফঃস্বলি
 
বাতাসে ভাসছে বৃষ্টির দুই ফোঁটা 
ভুল করে ভুল ঠিকানায় চলে আসে,
এঁদো-কানা-গলি ডাক পাঠিয়েছে বুঝি?
ফেলে আসা নদী এখনও কি ভালবাসে?
 
সেই নদী আজ অশান্ত অস্থির
দমকা বাতাসে ঢেউ ওঠে তার বুকে,
কচুরিপানার আবরণ ছিঁড়ে ফেলে
নগ্ন শরীরে বৃষ্টি মাখছে সুখে
 
শুধুই বৃষ্টি? নাকি আছে আরো কেউ?
পাগলিনী নদী ছুঁতে চায় কার শরীর?
সময়ের স্রোতে ভেসে যাওয়া সেই ছেলে
বাসস্টপে বসে গান শোনে জলপরীর।
 
বাসস্টপ, তুমি শুনতে কি পাচ্ছোনা?
বিরহিণী নদী কার টানে বয়ে চলে?
ভাঙাচোরা ঘাটে দুহাত বাড়িয়ে নদী,
সিঁড়ি বেয়ে উঠে কার খোঁজ করে চলে?
 
খোঁজ তো মেলেনা, যুগে যুগে জারি থাকে –
রাধার বেদনা শুধু যমনুাই বোঝে,
যমনুা পারেনা কৃষ্ণকে আটকাতে
কৃষ্ণরা আজও দ্বারকার পথ খোঁজে
 
সব পথ শেষে একই পথে গিয়ে মেশ
জীবনের পথ তবু তো হারিয়ে ফেলি,
ফেলে আসা নদী সমুদ্র খুঁজে ফেরে —
হ্যালোজেন আলোয় ফুটপাতে দাবা খেলি
 
নৌকা ডুবেছে, হাতি ঘোড়া সব জলে
মন্ত্রী হারালে এমন কি আর ক্ষতি?
ইঁটের রাজ্যে রাজা ফুটবল খেলে,
যুদ্ধক্ষেত্রে আমি একা সেনাপতি
 
রণকৌশল? কিছুই তো নেই জানা
তরবারি হাতে একা পথ খুঁজে চলি,
এ রাজধানীর প্রতি কংক্রিট জানে,
নাগরিক রাজা, আদতে মফঃস্বলি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ