ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

চুন-হলদি - অঞ্জলি দে নন্দী

আরে! আরে! আরে! ও পল্লী!

আমার চাঁদের কণা, ওরে!

হন্তদন্ত হয়ে কোথায় চললি

হোঁচট খেয়ে যাবি যে তুই পরে।

পাড়ার নন্দী-দাদু জিজ্ঞাসা করে।

আর তার হাত টেনে ধরে।

পল্লী হরবরিয়ে বলে, জোরে জোরে,

এক শ্বাসে উচ্চারণ করে করে,

"বাজারে যেতে হবে জলদি জলদি।

কিনে আনতে হবে কাঁচা হলদি।

আর চুন তার সঙ্গে।

মোচড় লেগেছে দাদার অঙ্গে,

ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠে।

গিয়েছে দমাস করে পরে।

এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সে হাঁটে।

বাড়ি ফিরে এসে দাদা,

কাঁচুমাচু মুখে বসে আছে ঠাকুমার খাটে।

মা যে পিঠবে দমাদম, পাখার বাঁটে।

আর বলবে, পাজি, বদমাশ, হতচ্ছাড়া, গাধা!

আর শুরু হবে তখন দাদার কাঁদা।

তাই ঠাকুমা বলল, চুন, হলদি গরম করে

জলদি জলদি দাদার পায়ে লাগাতে হবে।

ব্যাথা ঠিক হবে তবে।"

হ্যাঁ, ছোট বোনের নাম পল্লীমিতা

আর তার দাদার নাম বিধাতা।

দুজনেই দুজনকে যে বড় ভালোবাসে।

মুচকে গেছে, ব্যাথা দাদার পায়ে।

দাদার কষ্ট দেখে বোনের চোখে জল আসে।

তাই বোন বাজারে যাচ্ছে খালি পায়ে।

ওরা থাকে অজ পাড়া গাঁয়ে।

যেথায় দোকান, বাজার নাই আশেপাশে।

ওরা খালি পায়ে হাঁটে, খেলে নরম ঘাসে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ