ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

একাশির যুবক -প্রতীক মিত্র


পরিবার আছে তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
তাই একা থাকাটা সাদামাটা সত্যি।
মেয়ে দেশের এক প্রান্তে, ব্যস্ত, কর্মরতা, সংসারীও।
ছেলে বিদেশে, ব্যস্ত যে তা বলাই বাহুল্য।
তবে ওর ক্ষোভ নেই।
অন্তত বাইরে থেকে নেই।
পত্নী বিয়োগের কথাটা মনে পড়লে শুধু 
অস্বস্তির শীত শীত ভাবটা ফিরে আসে।
একাশিতেও রীতিমত যুবক।
সুযোগ পেলেই ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়া চাই।
কোনো বাধা নেই, টান নেই।
নাকি আছে?
মেয়ের সাথে কথা হয়।
গঁদেবাঁধা কথা। 
নাতি-নাতনির বিষয়ে জানবার আগেই 
মেয়ে টেনে আনে পোষা কুকুরটার কথা।
হাঁটুর ব্যথাটা জ্বালায়।
কিন্তু বলবে কাকে?কি লাভ?
একাই তো থাকা।
পরিচারিকার প্রসঙ্গ তুলেছে 
ছেলে-মেয়ে দু’পক্ষই।
কিন্তু তারা জানে বাবা একবগ্গা গোছের।
বাবার রক্ত তাদের শরীরেও।
তাই না তারাও শেকড় ছিঁড়ে 
প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে।
ওরা অবশ্য জানেনা
একা রাতে খেতে খেতে বিষম লাগলেই শুধু
বাবা ভয় পেয়ে যায়।
জলটা যে কেউ এগিয়ে দেবে!
একাশিতেও রীতিমত সেই যুবকের সাথে 
আলাপ হয়েছিল ট্রেনে।
একাকীত্বের সত্যিটাকে সে যেভাবে উদযাপন করে গেল
আমার বিস্ময় কাটতে সময় লেগেছিল অনেক।
এই ধরনের একাশির যুবক আরো থাকুক।
তবে শূন্যস্থানের মতন এতটা একা?
কোন আগামীর কথা ভেবে আমার যে আবার ভয় হয়?
সংসারে অবসরের দেরি আছে
তবে আজ না হয় কাল আসবে তো!
তখন যদি বিষম লাগে, জলটা কেউ এগিয়ে দেবে তো?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ