বিবেক লাট খায় বিশবাঁও জলে -অসীম কুমার সমাদ্দার

তুমি পোড়ো, আমি দেখি,  কিছু বলি না

যুক্তি দিয়ে থাকি সকলেই চলে ভবিতব্যের হাত ধরে

তুমি হাপুস নয়নে কাঁদো, আমি শুধুই শুনে যাই

যখন কিছু বলতে চাও, বধির হওয়ার ভান করি

রাতে তোমার আর্ত চিৎকার শোনা গেলে

গাছের পাতাগুলো হঠাৎ প্রবল বেগে আন্দোলিত  হয়

আমি কিন্তু হাত বাড়িয়ে উত্তরের জানালা বন্ধ করি

চাদর টেনে  সিগারেট ধরাই, সুখনিদ্রা যাই

 তোমাকে উলঙ্গ করে হাঁটিয়ে নিয়ে  যায় দুর্বৃত্তরা

ধর্ষিত হও হাথরস, মণিপুর বা অন্য কোথাও

ওরা মেরে ফেলে দেয় ধানক্ষেতে বা রেললাইনের পাশে

দিন দুয়েক উত্তেজনা থাকে খবরের হেডলাইন হয়ে

মিডিয়ার বাবুরা মহাভোজ আয়োজন করে

ধোপদূরস্ত গুণীজনেরা বাতানুকুল ঘরে বসে, শুরু করে

এ ওকে গালমন্দ, চোদ্দপুরুষের ইতিহাস ও বলে

তদন্ত হয়, কিছু ক্ষতিপূরণের ও ব্যবস্থা হয় প্রায়শ্চিত্তে আকচাআকচির শেষ হয় স্মৃতির বিস্মরণে

অশ্বত্থামা হত ইতি গজ, বিবেক লাট খায় বিশবাঁও জলে।