ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

অনুতাপ -রুচিরা মুখোপাধ্যায় দাস

 

                   ট্যাক্সি ধর্মঘট। প্রত্যেকটা বাসেই প্রচণ্ড ভিড়। এক ঘন্টার ওপর হয়ে গেল সমরেশ বাস স্টপে দাড়িয়ে। তার আশা অফিস টাইমটা ওভার হলে যদি বাসগুলো একটু ফাঁকা হয়! অন্তত বাসের পাদানিতে তো দাঁড়িয়ে যেতে হবে না! কিন্তু তাই বলে এতক্ষণ ! পাগুলো এবার টনটন করছে। তাছাড়া অফিসে যে তার কাজের চাপ খুব কম ছিল তাও নয়। "এবার যে বাস টা আসবে সেটাতেই উঠে পড়বো" - মনে মনে ঠিক করে ফেলল সমরেশ।

 

                একটা নিজস্ব গাড়ি কেনা সমরেশের মত  C. A- র পক্ষে খুব একটা অসম্ভব নয়। কিন্তু কলকাতার রাস্তায় পা বাড়ালেই যেখানে গাড়ির অভাব নেই সেখানে গাড়ি কেনাটা তার কাছে ওয়েস্টেজ বলেই সে মনে করে। যদিও অফিসের পথে বাসকে সে এড়িয়ে চলে। ট্যাক্সিতেই আসা-যাওয়া তার। কিন্তু ট্যাক্সি ধর্মঘটই সবকিছু আজ গোলমাল করে দিয়েছে।

 

                নেক্সট বাসটা আসতে খুব বেশি দেরী করলো না। পাদানিতে একটা পা ঠেকাতেই বাস দিল ছেড়ে। পরের স্টপেজে বাস থামলেই বাসের মধ্যেকার লোকের বেরোবার সুবিধের জন্য পাদানিতে দাঁড়িয়ে থাকা লোকগুলো যখন বাস থেকে নেমে দাঁড়াল তখন সমরেশ গুটিগুটি পায়ে বাসের একটু ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করতে লাগলো। একটা দাঁড়াবার ভালো জায়গাও সে করে নিল। সমরেশের ভাগ্য কী আজ এতই ভালো ! দু'তিন মিনিটের মধ্যে সামনের সিটটা ফাঁকা হলো। জানলার ধারে হাওয়া খেতে খেতে ঘামটা যখন সবে একটু জুড়িয়েছে তখন হঠাৎ একজনের দিকে চোখ পড়ল সমরেশের। ভালো করে চশমার কাচটা মুছে নিয়ে আবার দেখল। এতক্ষণ মুখের একটা পাশ দেখা যাচ্ছিল; কিন্তু ভিড়ের চাপে ভদ্রলোক মুখটা যখন পুরোপুরি ফেরালেন তখন আর কোনো সন্দেহই থাকলো না। এতো সেই অবনিদা-ই!

 

                       মনে পড়ে গেল "দর্পণ" এর কথা। লাল হয়ে গেল মুখ। হাওয়াতেও সে অঝোরে ঘামতে শুরু করলো। পঁচিশ বছর আগের সেই অপরাধ যেন তাকে চাবুক মারছে। একবার ভাবলো গাড়ি থেকে সামনের স্টপেজে নেমে যাবে কিন্তু উঠে দাঁড়ালে অবনিদা যদি দেখতে পায়! জানলার দিকে পুরোপুরি ঘাড় ঘুরিয়ে নিল সে। খুব কম করে হলেও তাকে এখনো ৪০ মিনিট এভাবে বসে থাকতে হবে। ইস্, অবনিদা যদি আগে নেমে যেত -  যদি এক্ষুনি নেমে যেত ! 'তারা' নাম জপ করতে থাকে সমরেশ। এক একটা মুহূর্ত যেন এক একটা ঘণ্টা। হঠাৎ সমরেশের কাঁধে কে যেন হাত দিল। নিশ্চয়ই অবনিদা দেখতে পেয়েছে! সমরেশ কিছুতেই মুখ ঘোরাতে চায়না। মুহূর্তের মধ্যে ভেবে ফেলল খুব স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গে কথা বলবে, যাতে অবনিদা কিছুই বুঝতে না পারে। ঠোঁটের কোণে অনিচ্ছাকৃত এক টুকরো হাসি নিয়ে মুখ ফেরাতেই বুঝতে পারল কন্ডাক্টর ভাড়া চাইছে। কোনরকমে ভাড়া মিটিয়ে আড় চোখে দেখতে চেষ্টা করল অবনিদা তখনও দাঁড়িয়ে আছে কিনা। কিন্তু একী ! অবনিদা নেই! বোধহয় নেমে গেছে। নিশ্চিন্ত দীর্ঘশ্বাস পড়লো সমরেশের।

 

                   চিরকালের বই পড়ার শখ সমরেশের। নিজে একাউন্টান্সিতে অনার্স পড়ুয়া ছাত্র ছিল ঠিকই, কিন্তু সাহিত্যের দিকে তার ঝোঁক ছিল বেশ। বিভিন্ন সাহিত্যিকের লেখা পড়ায় সে পেত আনন্দ। কলেজের লাইব্রেরী কার্ডে একটা করে বই দেওয়া হতো। তাই প্রতি সপ্তাহে অনার্সের প্রয়োজনীয় বই যেমন সে নিত তেমনি নিত মাঝেমাঝে মনকে তৃপ্ত করতে গল্প, উপন্যাস, কবিতা ইত্যাদি বিভিন্ন বই। লাইব্রেরিয়ানের সাহায্যকারী অবনি বড়ালের সঙ্গেও তার খাতির ছিল বেশ। যেন দু ভাইয়ের সম্পর্ক। অবনি অনেক কষ্টে পেয়েছিল চাকরিটা। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না হতেই সে তার বাবাকে হারায়। মা ও ছোট ছোট দুই বোনকে নিয়ে শুধুমাত্র টিউশনির জোরে সে বাকি পড়াশুনাটা করেছে। চাকরি পেয়েছে। বোনদের বিয়ে দিয়েছে। স্ত্রীকে নিয়ে বেশ খোশ মেজাজে এখন সে। 

 - "খুব ভালো খবর আছে সমরেশ, ইচ্ছে করছে আজ বেআইনিভাবে তোমাকে যত খুশি বই দিয়ে দিই।" এমন কথা অবনীর মুখে ! ছাত্ররা তো দূরে থাক, সমরেশের সঙ্গে এত ভালো সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও সে কোনদিন বেআইনিভাবে একখানা বইতে হাত পর্যন্ত দিতে দেয় না। ছাত্রছাত্রীরা সে কারণে অনেকেই তাকে সাধুপুরুষ বলে ইঙ্গিত করে যেমন, তেমনই আগের সাহায্যকারীর বেশ করে সুখ্যাতিও করে। "আগের সুভাষ বাবু এর থেকে অনেক ভাল ছিলেন। গায়ে একটু তেল মাখাও আর যত খুশি বই নাও।" অবনীদার সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্য সমরেশ এদের সঙ্গে গলা মেলাত না যদিও, তবুও মাঝে মাঝে নিজের ক্ষোভকে সংযত করতে না পেরে কিছুটা সুখ্যাতির সুরে নিচু গলায় বলতো - "এত সৎ মানুষ এ যুগে অচল"।

অবনির মুখে বেআইনিভাবে যতখুশি বই দেবার কথা শুনে সমরেশ অবাক হলো! 

- "কী এমন ভালো খবর অবনিদা যে, আপনার মুখে এমন বেমানান কথা?" অবনি মিষ্টি হেসে বলল -  "তুমি কাকা হতে চলেছ সমরেশ। এবার কিন্তু সত্যিই একদিন আমাদের বাড়িতে তোমাকে যেতে হবে। না বললে চলবে না।"

সমরেশ হাসল।

 

                      অফিসের ব্যাগটা হাতে নিয়ে সমরেশ বাস থেকে নামল। পকেটের রুমালটা বার করতে যাবে এমন সময় হাতটা কে চেপে ধরল! ঘাড় ঘোরাতে হতবাক সে! 

- " চিনতে পারছ না তো! আমি কিন্তু তোমাকে ঠিক চিনেছি। পরিবর্তনের মধ্যে খালি তোমার দু'পাশের ঝুলপি পেকেছে। " 

অবনিরও কি খুব পরিবর্তন হয়েছে? শুধু আগের স্বাস্থবান পুরুষালি চেহারা হারিয়ে রোগা হয়েছে, আর মাথার চুলগুলো গেছে সব পেকে। কিন্তু চেনা যায়। সমরেশও তো চিনতে পেরেছিল। তবুও প্রথমটা ভেবেছিল এড়িয়ে যেতে সে না চেনার ভান করবে। কিন্তু এতোখানি সমরেশ নয়। 

- "অবনিদা না! কত বদলে গেছেন!" 

অবনি মিষ্টি হাসলো। হাসিটা কিন্তু তার একইরকম আছে।

- "আমার ভাগ্যই আমাকে বদলে দিয়েছে সমরেশ।" সমরেশ মাথা নিচু করে থাকে। অবনিদা বলেই চলেছে

- "আজ কিন্তু তোমাকে ছাড়ছি না সমরেশ। পঁচিশ বছর আগে কথা দিয়েছিলে। তুমি ভুলে গেছ। কিন্তু আমি ভুলিনি। আজ তোমাকে আমাদের বাড়িতে যেতেই হবে। কিছুতেই তোমাকে আমি আজ ছাড়বো না।"

- "আজ বড্ড দেরী হয়ে গেছে অবনিদা। কথা দিচ্ছি উইকেন্ডে এবার আপনার বাড়িতেই যাবো।"

- "চিনবে কি করে সমরেশ ! আমি তো আর ওখানে থাকি না। চাকরিটা ছেড়ে দেবার পরও অনেক চেষ্টা করেছিলাম বাপ ঠাকুরদার ভিটেটা টিঁকিয়ে রাখবার। কিন্তু সবই আমার কপাল। তোমার বৌদিকে এমন কঠিন রোগে ধরল যে আমি..."

অবনি কথা শেষ করতে পারলোনা। সমরেশ আজ মাথা তুলে কিছু বলবার বাইরে। অনেকক্ষণ নীরব থাকার পর পাশের দোকান থেকে একটা কাগজ আরপেন নিয়ে ঠিকানা লিখে সমরেশের দু'হাতে গুঁজে দিয়ে বলল

- "পারলে যেও!" 

সমরেশ যেন কোনো কথাই বলতে পারলোনা। অবনিদার চলে যাওয়া পথের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। অবনির এমন অবস্থার জন্য তো সমরেশই দায়ী ! অবনি যদি সে কথা জানত তবে কী আজ তাকে এমন করে কাছে টেনে নিয়ে মিষ্টি হেসে তার বাড়িতে যেতে বলতো? অপরাধের আগুনে দগ্ধ হতে হতে ফুটপাত পেরিয়ে কলিংবেল টিপলো সমরেশ। কানাই দরজা খুলে সমরেশকে দেখেই বললো 

- "বৌদিমণি দাদাবাবু এসে গেছেন।" 

কানাই  তার বাড়ির চাকর। আজ সে কত সুখী ! কোন কিছুতেই তার অভাব নেই ! অথচ অবনির অভাবের কারণ তো সেই- ই!

- " কিগো আজ এত দেরি? বাসে বুঝি খুব ভিড় ছিল?"

 - "আমাকে একটু জল খাওয়াবে?"

 

 সেদিন নিজের মনের আনন্দের জন্যই অবনি বুঝি একটু বেশি অন্যমনস্ক ছিল। অনার্সের প্রয়োজনীয় বই তুলে লাইব্রেরি থেকে বেরোনোর সময় অবনিকে বিদায় জানাতে সমরেশ তাকে অনেকবার ডাকলো।  কিন্তু অবনি ছিল এক স্বপ্নের জগতে! অবনির টেবিলের ওপর "দর্পণ" বইটা দেখে সে যেন আর লোভ সামলাতে পারল না। অবনিকে না জানিয়েই দুদিন পর আবার বইটা ফেরত দিয়ে দেবে এই ভেবে সবার অলক্ষ্যে সে চটপট বইটা ব্যাগে পুরে ফেলেছিল। ভেবেছিল বাড়িতে গিয়ে রাতের মধ্যেই বইটা শেষ করবার চেষ্টা করবে। পারলে কাল সকালেই ফেরত দিয়ে দেবে। কাউকে কিছু না বলে  কলেজের বাকি ক্লাস গুলো ফাঁকি দিয়ে চলে গেল বাড়ি । নিজের ঘরে একরাশ আনন্দ ও উত্তেজনা নিয়ে বইটা খুলে সমরেশ দেখল একটা হাজার টাকার নোটহতচকিত হয়ে বইটা সরিয়ে ফেলবার আগেই কে যেন তার চোখ চেপে ধরল। চোখ ছাড়িয়ে সমরেশ পিছন ঘুরে দেখল তার পিসতুতো বোন মৌ। সমরেশ তাড়াতাড়ি বইটা বন্ধ করে খুব স্বাভাবিকভাবে বলার চেষ্টা করল -

" কিরে মৌ তুই কখন এলি? চল ও ঘরে চল।"

মৌকে পাশের ঘরে পাঠিয়ে সমরেশ চুপি চুপি তোষকের তলায় লুকিয়ে ফেলল বইটা। পুরো সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মৌ এর সঙ্গে গল্প করল। পরদিন বইটা ফেরত দেয়া হবে না এই ভেবে বেশ চিন্তার সঙ্গেই সে রাতটা কাটাল। পরদিন সকালে মৌ চলে যাবার পর সমরেশ "দর্পণ" এর খোঁজে তোষক এদিক সেদিক সবদিক সে দেখল। পাগলের মতো  তন্ন তন্ন করে সমস্ত ঘর খুঁজলো। কোথাও সেই বইটা নেই ! চিন্তায় সমরেশের খাওয়া ঘুম গেল হারিয়ে। দুদিন পর মৌ তাকে বইটা ফেরত দিয়ে বলল

 - "সরি রে। তোকে না বলেই নিয়ে গেছিলাম বইটা। জানি তোর কাছে চাইলে আজ না হয় কাল এমন করতিস। তাই..." 

মৌ এর ওপর খুব রাগ হয়েছিল সেদিন সমরেশের। কিন্তু প্রকাশ করেনি। দুদিন পর কলেজে গিয়ে শুনল হাজার টাকার হিসেব দিতে না পারায় অবনির মাইনে থেকে সে টাকা কাটা হয়েছে। অপমানে অবনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। সাধু পুরুষ অভিধা ছেড়ে কলেজের ছাত্ররা এবার ভন্ড সাধু বলে হাসাহাসি করতে শুরু করেছে।

 

জলের একটা করে ঢোক গিলতে গিলতে সমরেশের এক মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু মনে পড়ে গেল ।

 

- "অফিসে কি কিছু হয়েছে?"

স্ত্রী মীনাক্ষীর প্রশ্নে সমরেশ যেন চমকে উঠলো। নিজেকে বেশ করে ঢাকার চেষ্টা করে বলল 

- "না না কি হবে! বাসে খুব ভিড় ছিল কিনা! বড্ড ক্লান্ত লাগছে !"

- "বিকেলে কাটলেট আনিয়েছি। এখন দেব গরম করে?"

- "না থাক!"

সমরেশকে এখন কাটলেট খাওয়ার সাধাসাধি করা হচ্ছে। আর অবনি! তার হয়তো আজ রাতে একটা রুটিও জুটবে কি না সন্দেহ ! চাকরিতে সেদিন জবাব না দিলে আজ হয়তো অবনিও চিকেন কাটলেট, চিলি চিকেন খেত। সমরেশ যদি সেদিন কলেজে নিজের দোষ স্বীকার করত! যদি চিৎকার করে বলতো সত্যি কথাটা! তাহলে হয়তো অবনির আজ এমন অবস্থা হতো না! অপরাধের আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গেল সমরেশ। সারারাত শুয়ে ছটফট করলো সে। ভোর হতে না হতেই পৌঁছে গেল অবনির বাড়ি। একতলার একটা ছোট ঘর। দরজা খুলে দিল তেইস চব্বিশ বছরের একটা ছেলে। যেন ছোটবেলার অবনি । 

- "অবনিদা আছেন?"

 সমরেশের গলা পেয়ে অবনি বেরিয়ে এলো।

- "তুমি এসেছ সমরেশ? আমার যে কী ভালো লাগছে!"

আন্তরিকতার সঙ্গে সমরেশকে ডেকে নিয়ে বসালো একটা চৌকিতে। তারপর বলল

- "একে চিনতে পারছ না তো? এ অরিন্দম। আমার ছেলে।"

সমরেশের মনে পড়ে গেল এই অরিন্দম পৃথিবীতে আসবে বলেই আনন্দিত অবনিদা সেদিন ডুবে ছিল স্বপ্নের জগতে। অবনি  বলেই চলেছে

- "ছেলেটা আমার জন্ম থেকেই দারিদ্র্যের মধ্যে কাটাচ্ছে। খুব ভালো ছেলে। গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে। এখন চাকরির সন্ধানে। কিন্তু কি জানো সমরেশ, দুবেলা দুটো ভাত আমাদের জুটুক না জুটুক আমরা কিন্তু এখানে বেশ সম্মানের সঙ্গে বেঁচে আছি। সব কিছু সহ্য করা যায় কিন্তু সম্মানহানি ! কিছুতেই না। তুমি আমাকে বিশ্বাস করো কিনা জানিনা কিন্তু আজও আমি জোর গলায় বলতে পারি কলেজ লাইব্রেরির টাকাটা আমি একটা বইয়ের মধ্যে রেখেছিলাম। সেদিন বই সমেত টাকাটা উধাও হয়েছিল। কিন্তু আমি এর বিন্দু বিসর্গ জানি না !" 

অবনির মুখের কথা শেষ হতে না হতেই সমরেশ উঠে দাঁড়ালো। একটা কার্ড পকেট থেকে বের করে অরিন্দমের হতে গুঁজে দিয়ে বলল

- "আজই আমার অফিসে চলে আসবে। চাকরি তোমার হবেই হবে!"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ