ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

এইসব স্মৃতি ও জন্মদাগ -সুমন ব্যানার্জি


।। ১ ।।

সাদা কাগজে ইদানিং আর অক্ষর খেলতে চায় না। পেন সরতে চায় না। হয় হারিয়ে ফেলা নয় ছেড়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বাস্তব নেই। ঠিক। তবু মায়ার মেঘ বিচরণ করে। যেমন যার হাত ধরার কথা পাকা হয়ে গেছিল যে কুয়াশায় হারিয়ে গেছে। কেউ কেউ নিজের নিজের পথ তৈরি করে নিজের পৃথিবীতে ডুবে আছে। এইসব স্মৃতির জন্যই কি আসা পৃথিবীতে ? কেউ পাঠায় ? 


।। ২।।

প্রতিটা দুপুরে বন্ধ ঘরকে এক টুকরো জাদুঘর মনে হয়। কাঠের জানলা সব বন্ধ, উপরে ভেন্টিলেটর দিয়ে ঠিকরে পড়ছে রোদ্দুর। ঘুমের মধ্যে অঙ্কুশের মতো ঢুকছে একটা বিরক্তি। একদিকে এত সুখ-দুঃখ, মান-অপমানের মালা গাঁথছি অন্যদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে একটা রঙ। ভাবি ভেন্টিলেটরগুলো কাপড় দিয়ে বুজিয়ে দেবো। তা করলামও ; এবার ঘরটা হয়ে উঠল এক টুকরো মহাকাশ। একটা অতল ঘুম। ছোট্ট শান্ত দীঘি। দাঁড়াচ্ছি, বসছি একটা নম্র সমতলে। এমন সমতলই তো চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম এমন একটা শান্তি। একটা অন্য রক্তের পরিবহন টের পাচ্ছি। বদলে যাচ্ছে মাংস পেশি, স্নায়ুর গতিবিধি। ক্লান্তি, বেদনা, আঘাত থেকে ফুটতে চাইছে পলাশ। সবুজ ঘাসে পা ফেলার আনন্দ। একটা অব্যক্ত ব্যাপ্তির কাছে ছোট্ট হয়ে বসে থাকার আনন্দ। চেয়ে দেখার আনন্দ। সন্ধ্যায় সাইকেল নিয়ে ঘরে ঢোকার সময় গলির কাছে পড়ে একটা শুকনো পাতা। ঐটুকুই মায়া থেকে যায়। শান্তির চোখ খুঁজে নেয় তার সৌন্দর্য। এমন কিছু সঞ্চয় থাক্ জীবনের। 


।। ৩ ।।

পুকুর পারে এক উদাসী নির্জনতা। বইছে হাল্কা ঝোড়ো হাওয়া। এইসব হাওয়া, এইসব ছবির চেয়ে থাকা ঘর পাতানোর ইচ্ছে ভেঙে দেয়। যে পথে রুটিন ধরে যাতায়াত করি সেই পথেই যাতায়াতের রুটিন ভেঙে দেয়। একটু আগুন, একটু খাবার, একটু টাকা হাতে থাকলে সব সম্ভাবনা মিলিয়ে দেয়। পূর্বপুরুষের দেওয়া এই জন্মদাগকেই অজানা বলে মনে হয়। একটা ডাক আসে।।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ