একটি কথাই জানার ছিলো
তোমার থেকে।
তুমি জানো:
যদি আমি তাকিয়ে থাকি
স্ফটিক চাঁদের পানে
কিংবা জানলা দিয়ে শরতের লালচে শাখায়,
যদি আমি স্পর্শ করি
আগুনের পাশে রেখে দেওয়া
আধপোড়া ছাই
কিংবা শুকনো ধূসর কাঠের শরীরখানি।
এ সবকিছুই আমায় তোমার কাছে নিয়ে আসে,
যে সব কিছু বিদ্যমান-
সুগন্ধ,আলো বা কংক্রিট,
সেই ছোট্ট নৌকা,
সেই পাল
তোমার সেই দ্বীপের কাছে-
যারা আমার জন্যই অপেক্ষারত।
কিন্তু এখন,
যদি ধীরে ধীরে তুমি আমায় ভালো আর না বাসো।
আমিও অল্প অল্প করে ভালোবাসা বন্ধ করে দেবো।
হঠাৎ যদি
তুমি আমায় ভুলে যাও
আমাকে খুঁজোনা তবে,
আমিও তোমায় ভুলে যাব।
যদি ভাবো এ এক দীর্ঘ পাগলামি,
ধ্বজায় লেগে ছুটে আসা বাতাস
আমার জীবনের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাবে।
আর তুমি যদি ঠিক করে নাও
আমাকে তীরেই ছেড়ে যাবে একা,
হৃদয়ের অন্তঃপুরে, যেখানে শিকড় বেঁধে রাখা।
মনে রেখো,
সেদিন
সেই সময়,
আমি আমার হাত তুলে ধরবো,
আমার শিকড় কাটা পরে যাবে
অন্য মাটির সন্ধানে।
কিন্তু
যদি প্রতিটি দিন,
প্রতিটি মুহূর্ত,
তুমি অনুভব করো যে তোমার জন্ম আমার জন্যই শুধু।
অনন্য মিষ্টতা নিয়ে
যদি প্রতিদিন সেই ফুল
আমায় খুঁজবে বলে তোমার ঠোঁটে ধরা দিয়ে যায়,
আহ্ আমার ভালোবাসা, ওহ্ আমার একান্ত আপনার জন,
আমার মধ্যে সমস্ত আগুন আবারো জ্বলে উঠবে,
কিছুই নিভন্ত নয়, সবটাই মনে আছে।
প্রিয়তমা, তোমার ভালোবাসাতেই আমার ভালোবাসা,
আর যতদিন তুমি বেঁচে আছো,
আমার সবকিছু ছেড়ে দিয়ে
এ কেবল তোমার হাতেই বাঁধা।
ভাষান্তরে সুজয় দাস
0 মন্তব্যসমূহ