নিবারণ চক্রবর্তী ঘুরে বেড়ায়
বাঁধান খাতায় নেই তার কবিতা,
কবিতা তার মনে
কখনও ছেঁড়া কাগজে।
অমিতের হঠাৎ ইচ্ছে হল
তাকেই প্রেসিডেন্ট করতে।
সভায় হৈ চৈ রব
সবারই প্রশ্ন, এ কোন সম্পদ।
অমিত বললে নমুনা রাখছি,
‘কে আমি প্রশ্ন তোমাদের
সে কি জানার আগ্রহে
নাকি কৌতুকে করবে হরণ
আমার আমিত্ব বোধ’।
‘বৈশাখের বুক ফাটা মাঠ
আষাঢ়ের জলে নেয়ে
সবুজের আভাসে যায় ঢেকে,
ধরে ফুল বসন্ত বাতাসে
তবে কেন ত্যাজ্য হবে
রসহীন শুষ্ক রুক্ষ বলে’।
অমিত হাত ছুঁড়ে বলল
এই হল নিবারণ চক্রবর্তী
তাার ভাষাতে আরও বলি,
‘আমি তোমাদের লোক
নব আগুন্তুকেরে ফিরায়ো না
অবহেলা ভরে,
আমার ছন্দে হয়ত দ্বন্দ্ব
হবে প্রতি ঘরে ঘরে’।
সভায় ওঠে রব,ঘোর বিপদ
যারে তারে আশ্রয় দিলে
আমাদের মান যাবে চলে,
সংস্কৃতির যে মূল্য আছে
নিবারণ কি বোঝে তারে।
শুধু তর্ক, শুধু বাক্য
বাগীশ
শুদ্ধ সভ্যতার মাঝে
এনে দেবে বিষ।
শাস্ত্রের বিধিতে ধ্বংস হোক
এমন বিপরীত আচার
নিবারণের হোক নির্বাসন।
অমিত উঠে দাঁড়িয়ে বললে
নিবারণ যাবে না অত সহজে
তার কথাতেই বলি,
‘আজ যা ভাল,মন্দ যদি কাল
মন্দ বলে কেন গালাগাল,
আজ যে অপরিচিত
তারেই খুলে দিতে হবে দ্বার
তবেই হবে সমৃদ্ধি সভার’।
0 মন্তব্যসমূহ