গ্রহণ লাগলে জেঠিমা বলতেন আগুন জ্বালাতে
নেই।আগুন পেট নিয়ে আমরা ছোটবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করতাম।
জেঠিমার পাতে আমি কখনো আমিষ দেখিনি!তার
বৈধ্যব্যের সাদা রং জুড়ে শসা আর ধূপের গন্ধ গড়াত।তার একা দোষী হয়ে থাকা নিরম্বু
উপবাস আর রাতের উলঙ্গ ছাদ স্নান আমি অনেকবার দেখেছি।
তেমনি বাড়িতে গরুর দুধ দিয়ে যাওয়া বিনি
গোয়ালিনীর বর অন্যত্র সহবাস করে,বাড়ি ফেরেনা।অথচ ঠোঁটের
কোণে রক্তের কালো দাগ লুকিয়ে রাখার কি ব্যর্থ চেষ্টা ছিল তার!
রাহুর কাটা গলা
দিয়ে যখন চাঁদ কিম্বা সূয্যি মামা টুপ করে বেরিয়ে পড়তো, মাছ ভাজার গন্ধে
গোটা বাড়ি ম ম করতো।জেঠিমা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতেন, পরের জম্মে
শুদ্দুর করো ঠাকুর।
বিনু গোয়ালিনী ক'দ্দিন আর আসে
না।আকাশের কানাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে জেঠিমার অস্পষ্ট কথাগুলো বুকে বারুদ হয়ে ওঠে।
দুধের বাটিতে আজ ও জমাট বাঁধা রক্তের কালো দাগ
ভাসে।
0 মন্তব্যসমূহ