ভোর
ফুটলো।
গঞ্জের
সবচেয়ে প্রবীণ বটবৃক্ষটি আড়মোড়া ভাঙল,
তারপর
দু‘চোখ মোছবার অবকাশে চমকিত হলো সে।
তার চোখে পড়লো
জোড়াবিলের ধারে সাদা সাদা ছোপ।
চোখ কচলে
সে আবার দেখল –
তার
অনুমান ভুল নয়;
সত্যিই
কাশ ফুটেছে বিলের দু‘ধার জুড়ে!
তাহলে কি…?
আনন্দে
শিশুর মত নৃত্য করে উঠল প্রবীণ বটবৃক্ষ –
শোনো!
শোনো! শোনো! সবাই শোনো!
এবার
বর্ষা আমাদের ফাঁকি দিয়েছে তো কি হয়েছে!
শরৎ চোখ
মেলে চেয়েছে!
ওই দেখো
কাশফুল হাসতে লেগেছে।
প্রবীণ
বটবৃক্ষের সে আনন্দ স্পর্শ করল সব্বাইকে।
তখন
গেরুয়া-সাদা ইউনিফর্মে সেজে শিউলি বের হল,
খবর দিল
জবা টগর স্থলপদ্মকে।
ভোরের ঘাস
তার বুকে ধরে রাখল শিশির-মুক্তো,
আর আকাশের
নীল সামিয়ানা জুড়ে ভাসলো
অলস মন্থর
পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘের দল,
সূর্য
ছড়ালো তার সেরা সোনালী আলো;
রাধু-বোষ্টমী
খঞ্জনি বাজিয়ে পথে বের হলো…
ঠিক সে
সময়ে একলা এক বাউল
একতারা
বাজিয়ে গাইছিল–
“যাও যাও
গিরি আনিতে গৌরী…”!
0 মন্তব্যসমূহ