ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

সুকান্তের প্রতি - আদৃতা চ্যাটার্জ্জী



বিপ্লবের স্ফুলিঙ্গ তুমি, তুমি বিদ্রোহ কবি প্রতিমুহূর্তে করেছ প্রতিবাদ। ২১ বছর বয়সের মধ্যে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে দৃষ্টান্ত করে গেছো। সমাজের চোখে তাদের হয়ে গেছো তুমি যারা সর্বহারা বঞ্চিত নির্যাতিত। কিন্তু দেখো, তুমি তাদেরই দলে অথচ যখন ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরতে কেউ খোঁজ করেছিল তোমার? কেউ কখনো তোমার কাছে জানতে চেয়েছে তুমি কি চাও বা না চাও? আজ খেয়েছ কিনা, কাল কী খাবে, শরীর কেমন আছে? না জানতে চায়নি কেউ। তুমিও মুখ ফুটে বলোনি, তবু তুমি এই সমাজকে অনেক কিছু দিয়ে গেছো। সামনে এগিয়ে গেছো, থামোনি কখনো, প্রতিনিয়ত একটা রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে দিয়েছো। চিকিৎসাটাও ঠিক করে করাওনি, তোমার পাশে এসে দাঁড়ায়নি কেউ; সবকিছু উপেক্ষা করে তুমি এগিয়ে গেছো। তুমি ছিলে মানুষের কবি হয়ে, জনতার কবি- দরিদ্রতাকে  কখনো তেমনভাবে আমল দাওনি। শারীরিক কষ্টকে তুচ্ছ করেছ তুমি, তার মূল্য তোমাকে ২১ বছর বয়সে জীবন দিয়ে চোকাতে হয়েছে। স্বাধীন ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে একবার শ্বাস নিতে পারলে না, তার আগেই চলে গেলে। অভাব দারিদ্র নিজের জীবন দিয়ে প্রত্যক্ষ করেছো, কষ্টটুকু বুঝতেও দিলে না। ইংরেজদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃনা, রাগ প্রকাশ করেছো প্রতি মুহূর্তে নিজের মতো করে তোমার লেখার মধ্য দিয়ে, প্রতিবাদ করে গেছো প্রতিনিয়ত, একমুহূর্ত দমে থাকোনি, দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে গেছো। এত জেদ পেলে কোথা থেকে জানতে পারি? প্রতিজ্ঞাদৃঢ় কন্ঠে সমাজের আমজনতা চিরন্তন শত্রুর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বারেবারে; শোষক শাসন আর শাসকের বিরুদ্ধে বারবার একত্রিত করেছো সবাইকে- লড়াই চালিয়ে গেছো প্রতিনিয়ত, লড়াই চালিয়ে যেতে বলে গেছো প্রতিনিয়ত। তবে নিজে অবশ্যি মাত্র ২১ বছর বয়সেই এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে দূর দেশে পাড়ি দিলে- জানি না হয়তো বা আমাদেরই প্রতি কোন অভিমানে!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ