ভবিষ্যতের সদর দরোজা আধভেজা
মাংসপেশিতে জং ধরে আছে
দিকহীন খপ্পর আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে মূর্খের আড়তে
দুপুরের লালচে রোদে আমি পা উল্টে শুয়ে আছি
হারের রেলিং জাপটে ধরে আছে অন্তর্ঘাতী কার্যকলাপ
গায়ের চামড়ার ঘাতঘোতের ভিতরে চলে উস্কানিমূলক ক্রুরতা
আমি চুপচাপ বসে ভাবি কী করা যায় এখন
মানুষ যে যার ঘরে ফিরে যায়
আমাকেও যে ঘরে ফিরে যেতে হবে
তাই দুঃখের গ্রামোফোন মুলতুবী রেখে
উড়ন্ত নীল আকাশে উড়িয়ে দেই মনের চাঁদোয়া
সামনের সমস্ত পথ ধেবড়ে গেছে
কারোর সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না আমার দিশাহীন ভাবনা
অবশেষে অনুর্বর ঘামের ওপর ব্যর্থতার অলস পোকার গায়ে থুথু ফেলে আমি
পিঁপড়ের পথ ধরে খালি পায়ে নিরুদ্দেশের কুঠার ভেঙে মাতৃজঠরে প্রবেশ করি।
0 মন্তব্যসমূহ