কে ভাসালো শত কাগজ তরী
ঐ গাঢ় নীল সাগরে
বাতাসের তালে দুলে দুলে চলে
হাতে হাত ধরে কত অবয়ব গড়ে।
কল্পনার দূরবীনে দেখেছি তাদের
সিংহ, দুগ্গা,অসুর বেশে,
দূর- দূরান্তে যায় তারা ভেসে
দেখতে দেখতে যায় আবার মিশে।
টুপ টাপ টুপ শিউলি পড়ে
সারারাত ধরে,
তারই গন্ধ এলোকেশী নিশা
অঙ্গে মাখামাখি করে।
শিশিরের ছোঁয়ায় সেজে ওঠে
স্নিগ্ধ শীতল আঁচল,
সপ্ত অশ্বারোহীর আলোয়
করে তারা ঝলমল।
নতুন জামার গন্ধে তরু
খুলছে তাঁর বসন,
রাশিরাশি কাশফুল সাজায়
সবুজ মাঠে মায়ের আসন।
শরতের আকাশ,হিমের পরশ
সাবলীল সৃজন কিশোরীর খেলা,
বনফুলের মাঝে বসেছে কত
অলি,প্রজাপতির মেলা।
দিঘির জল শালুক, পদ্মে
পায় কত শোভা,
আনন্দে দোলে তাদের আনন
লাগিয়ে শরৎ আভা।
আকাশে বাতাসে বার্তা তোমার
সকলে আগমনী গাইছে,
কাশফুল, পদ্ম,পেঁজা মেঘদূত
বলছে মা আসছে।
1 মন্তব্যসমূহ
আসলে যারাই আমরা লেখালেখি করি, তাদের কাছে শরৎ হলো প্রকৃতির বরদান স্বরূপ। তারপরেই আছে বসন্তের হৃদয় রাঙানো একটি ঋতু। কিন্তু লেখালেখিতে শরৎ ঋতুর প্রাধান্য অনেক বেশি কারণ এই ঋতুতেই বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো। কবির কলমও সেই প্রভাবে স্বার্থক ভাবে প্রভাবিত।
উত্তরমুছুন