অনাগত পৃথিবীর পরিশ্রম শুঁয়োপোকা জ্বর
অনাবিল সংকেত উপেক্ষিত নীল জোনাকি নির্দয়
চেয়ে থাকা বৃষ্টির প্রতিচ্ছবিতে নিঃসঙ্গ হৃদয় একাকী
বিনিদ্র রজনী মৃত চোখের বিষাক্ত স্বপ্ন তাড়া করে
বিদ্বেষী মানুষের পা ধরে ক্ষমা চেয়ে রোগশূন্য
অদৃশ্য আশীর্বাদ স্বচ্ছ উপযুক্ত আসন পেতে মানুষের ঠাঁই হয় পিতার চরণে মুক্তিমেয় অভঙ্গুরতায়।
চেহারায় প্রচুর মিল ছোঁয়া লাগে ভালোবাসার
ঠিকানাহীন শীত পাখিদের উড়ে যেতে হয়
জোঁকের চোখে চেয়ে সমস্ত চুক্তি ভঙ্গ করে।
খোলা আকাশ বেয়ে উৎসুক হয় জীবন
অদৃশ্য সব ছায়ারেখা মানুষের সম্পাদনা করে
বিষাক্তকীটের স্বপ্ন'গুলো মরে যায় ক্রোধে।
তরুলতা মাটি ভেদ করে উঠে আসে মুক্তির লাভে
স্বাধীনতা দেখে ক্ষিপ্ত হয় দৃষ্টি
হতভাগা দু'নয়নে যতসব অপরাধ পুলকিত হয়
তিলোত্তমা নগরীর দ্বার খুলে বসন্তের পরশে।
পাখিদের ডানার দাপটে খুলে যায় বন্দীদশার বন্ধন
এক যুগ মঙ্গল হোক আর এক যুগ অমঙ্গল
তবুও ভালোবাসার শ্রীবৃদ্ধি ঘটুক উদ্ভাসের জঠরে।
মৃত চোখের বিষাক্ত স্বপ্ন
নুয়ে পড়ে নক্ষত্রের বুকে নীহারিকার বুকে
অজস্র স্বপ্ন মৃত হয় বিরহের জাগরণ ওঠে
পায়ে পায়ে শত্রুপক্ষ সূচনার গান তোলে।
কত বিচিত্র সুন্দর এই পৃথিবী তবুও ক্ষয় হয় বহু কিছুর
নদী মরু সাগরের ঘুম পায় তানপুরা নিয়মে।
চোখে চোখে আস্ফালন তফাৎ শুধু বিবেকে
শিরদাঁড়া সব নুয়ে যায় একহারা শরীরে।
ভালোবাসা অপরাধ অন্ধকার যুগ আসে ভুবনে
প্রেমিকার কপালে ভাঁজ পড়ে প্রেমের দায়ে সব হারিয়ে।
উদাসীন প্রহরে মানুষের উদার মনোভাব
গায়কের সুর বিক্ষুব্ধ হয় জাতের প্রশ্ন তুললে...
মৃত চোখের বিষাক্ত স্বপ্ন প্রজাপতির ডানা বেয়ে
অভিশাপে নগ্ন হয় সেবকের হাতেনাতে।
কারাগারের প্রহরী পরিত্রাণ পায় কালোপর্দার আড়াল থেকে
তারপর কারা যেন বলে ওঠে আমরা একদল আসামী।।
1 মন্তব্যসমূহ
বেশ ভালো লাগলো। প্রথম দিকে একটু ছিন্ন ভিন্ন দৃশ্য আসলেও। শেষ লাইনে কবিতাটি যেনো অন্ধকারে দেশলাই বারুদের মত জ্বলে আলো ও তাপ দুই ছড়ালো।
উত্তরমুছুন