ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

সোনালী বিকেল -অঞ্জন বল



বরফে ঢাকা প্রান্তর রোদ খেয়েছে সারা দিন , ঝকঝকে খারকিভের  সোনালী বিকেল--
ট্রেমবিটারের সিম্ফনি বেজে উঠেছিল বাতাসে, তরুণ তরুণীরা গেয়ে উঠেছিল
"ও সোলো মিও " গানটি--
"একটি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন কি ভীষণ  
সুন্দর একটি ঝড়ের পরে বাতাস কত স্বচ্ছ নির্মল উৎসব মুখর,
একটি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন কি ভীষণ 
সুন্দর।"
--- এরপরই নেমে এসেছিল অন্ধকার
ধূসর কালো ধোয়ার কুণ্ডলী, 
আকাশ ছিঁড়ে বোমারু বিমান, 
পাপড়ির মতো ঝরে পড়েছিল খারকিভের সোনালী বিকেল।

আগুনের তুষারপাত হচ্ছিল শহর জুড়ে
প্রতিটি আগুনের গায়ে মানুষের ঠিকানা লেখা ছিল, 
প্রেমাস্পদেরা পরস্পরকে জড়িয়ে ছিল,
শিশুরা মাকে-- ধ্বংসের সামনে সকলে ভরসা আশ্রয় খুঁজছিলো।
যুদ্ধ ব্যবসায়ীরা হার হদিস খবর নিচ্ছিল
--- কে জিতলো কেইবা হারলো?
সব যুদ্ধের শেষে হেরেছে মানুষ চিরকাল,
যুদ্ধ মানবিক হয়েছে কবে কোনদিন?
সভ্যতার বুকে ক্ষয়েছে মানুষ জমেছে
মৃত রাশ,
গভীরতম অন্ধকার ঘোরে ডুবে গেছে
খারকিভের সোনালী বিকেল।

প্রতিটি ধ্বংসের স্তূপ থেকে মানুষ উঠে 
আসে একদিন, 
যুদ্ধের শেষে তাপ ক্ষয়ে ক্ষয়ে শীতলতম পৃথিবীর আকাশ নক্ষত্রে ভরে উঠে, 
চাঁদের মুখে সূর্যের ছায়া, 
ট্রেমবিটারের সুরে অসমাপ্ত গান বেজে উঠে--
"সূর্যাস্তের পরে রাত নেমে এলে নীল হয়ে উঠি
বসে থাকি তোমার জানালার নীচে
সূর্যাস্তের পরে রাত নেমে এলে .....
অন্য সূর্য যা এখনো উজ্জ্বল .....
আমার আপন সূর্য, 
প্রিয়তমা তোমার মুখে দেখি হে সূর্য, আমার আপন সূর্য তোমার মুখে দেখি,  
প্রিয়তমা তোমার মুখে দেখি। "

পৃথিবীর যা কিছু অস্ত্রের মজুত ভান্ডার 
তার থেকে জীবন অনেক বেশি ভারী,
তাই এসো লগ্ন হয়ে জমাট বেঁধে থাকি,
যুদ্ধের পরেও প্রতিটি শীতের পরে বসন্তের আশ্বাস,
তিসি ফুলে ভরা ক্ষেতে ফিরে আসে বিশ্বাস ,
নরম রোদ্দুরের সূক্ষ্ম কণায় আপ্লুত মাঠ
খারকিভের সোনালী বিকেল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. ভালো লেখা। কিন্তু কিছু বানান অসঙ্গতি রয়েছে। শহর বানান সহর হয়ে গেছে। যার অর্থ অপ্রাসঙ্গিক

    উত্তরমুছুন