নিজের ছোটবেলা বা 'ছোট্টবেলা'র কথা
মনে পড়ে না,
স্মৃতির খোলস গুলো খুঁজে পাইনা আর
হারিয়ে গেছে অথবা ভেসে গেছে সময়ের জোয়ারে
শেষ বাক্যালাপের পরে ...
যেটুকু ছায়াছবি অথবা ছায়া ছায়া ছবি
ছেপে বেরিয়েছে পড়শি আর আত্মীয়ের মাঝে
সে চিত্রনাট্য মুখস্থ আমারও জ্ঞানবেলা থেকে
যদিও বদলে যায় সুর, শব্দ আর ভাষার পেলবতা
শূন্য দশকের মধু কখনও অ্যালকোহল হয়ে গেলে
দোষারোপ করা যায় না মায়ের স্মৃতিকে ...
শুনেছি জন্মানোর আগেও নাকি ডেকেছিল মৃত্যু
জীবনের কোলাহল শুনে চলে গেছে মাথা নিচু করে
মায়ের তখন এই এতটুকু মায়া বেঁচেছিল গর্ভজাত
জীবনের প্রতি লিখে ফেলেছিল প্রায় অন্তিম চিঠি
সেই মা যদি ভুল করে সাজিয়ে ফেলে আগুপিছু ঘটনার পুরাণ
মুখ বদলে এঁকে দেয় হ্যালুইন মুখোশ
তাকেই মেনে নিতে হয় শিশুকাল বলে
অথচ প্রতিটা সংলাপের আয়ু মাত্র কয়েক বছর
তবুও শৈশব কখনও স্পষ্ট হয় না
মায়ের চশমার কাচের মতো ...
1 মন্তব্যসমূহ
জন্ম মুহূর্তের মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসার কি অদ্ভুত কারণ ভেবেছেন কবি! সত্যি মায়ের আঁকা হ্যালুইন মুখোশও বাস্তবিক মায়ের স্নেহ, আশীর্বাদ। আর সেইতুকুতেই লেগে থাকে শৈশব। অসাধারন ভাবনা।
উত্তরমুছুন