ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

স্বপ্নেরা কাছাকাছি এলে -মৃন্ময় ভান্ডারী


আমি বহুবার চেষ্টা করেছি তবু স্বপ্নের কোনো ভাষা হয় না।

রোজ রাতে স্বপ্ন এসে কিছু বলতে চেয়েছে

কিছু অত্যাশ্চর্য দেখাতে চেয়েছে।

কিন্তু স্বপ্নের ভাষা আমি বুঝতে পারিনি, ভালোভাবে পড়তেও পারিনি।

শুধু কিছুটা অনুভব করেছি কিছুটা ঘুমের বর্ণময়তায়।

আমি নিশ্চিত স্বপ্নে ছিল শব্দ,

কিছু কাহিনী,  জীবনের কাছাকাছি এসে হাত ধরে ডেকেছিল।

দেখতো চিনতে পারো কিনা।

আমি কিন্তু কোন মিল খুঁজে পাইনি।

আমি অবাক হয়ে বলেছি এটাতো আমি নই।

স্বপ্ন কি তবে বাস্তবের কারাগার থেকে মুক্তি পায়নি?

আমার কিন্তু এখনো মনে আছে যেদিন আমি পা ফসকে পড়ে গিয়েছিলাম ১৭ তলা বাড়ির উপর থেকে।

খানিকটা ভেসে ছিলাম,  খানিকটা বেঁচেও ছিলাম

তারপর মেঘেদের সঙ্গে আলাপন, পাখিদের সঙ্গে খানিকক্ষণ, এমনকি হাফ বজ্ঞা ঘুড়িটাকেও বেশ কয়েকবার ধরেছিলাম।

তারপর যে কি হল..

আমি প্রাণপণ চিৎকার করেছিলাম।

আমাকে বাঁচাও...

নিদেনপক্ষে মাধ্যাকর্ষণ শক্তিটা আজকের মত রদ করে দাও

ঘুম ভেঙ্গে তারপর করে উঠে পড়েছিলাম।

আতঙ্ক কিংবা ভয়ে আমার জামার কলার গুলো ভিজে গিয়েছিল।

মুহূর্তের জন্য স্বপ্নটা ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল

আমার আমি বুঝি আর আমিত্ব পাবে না ফিরে।

স্বপ্নের মধ্যেই কেমন যেন বাস্তবের চুম্বন

আর যেন বাকি কি কি রইলো।

আমি যেন স্বপ্নের আবহমণ্ডলে তবুও...

পাশের টেবিলে এক গ্লাস জল আমাকে বাস্তবে ফিরিয়ে এনেছিল।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ