ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

পাঁচ বছর রাজত্ব -তৈমুর খান


সব সোজা কথা বাঁকা হয়ে যাবার পর 

এখন দিনের বেলায়ও আলো খুঁজতে হয় 

যদিও অক্ষরগুলি পড়া যায় 

তবু ঈশ্বরী পাটনী বুঝতে পারেনি 


যে গলিতে এখন হাঁটছি সেটাও কি জাতীয় সড়ক? 

দ্বিধাগ্রস্ত পোলগুলি দাঁড়িয়ে আছে 

প্রত্যেকেই ধাতব সুতো ধরে পরস্পর 

তাদের একতা ও বৈরাগ্যের ভেতর 

নীল চশমা পরা আকাশ ঢুকে গেছে 

চিনতে পারি না আমার কোথায় কৃষক পাড়া! 


সিঁদুর পরা বধূটির স্বামী 

পণপ্রথা বিরোধী আন্দোলনে নেমেছে 

চাঁদা চাইতে এসে বলল : দেখবেন একদিন সব পুরুষই….. 


আমি পাঁচ বছর রাজত্ব করে ফিরে যাব নাকি ? 

ভাবতে ভাবতে শের শাহ হয়ে যাই 


আমার এই পাণ্ডুলিপির কাগজখানা 

আজ আর গোপন করব না, 

ব্যর্থ অশ্রু এবং অনর্থক হাসিগুলি 

তুলে দিতে দিতে নিজেকেই ধন্যবাদ জানাব। 

এত বদলে যাবার পরও দেখি : 

মানুষ মানুষের ভেতরেই দাঁড়িয়ে আছে 

কেউ মরেনি, কেউ পালায়নি , 

শুধু শব্দ নিক্ষেপের ব্যাপারটাই পাল্টে গেছে। 

এখন আর বেদমন্ত্রে ঈশ্বর নামেন না বলে 

খিস্তি দিতে হয়। 

অশোক স্তম্ভের বাঘ হিংস্রতা ভুলতে পারে 

কিন্তু সুন্দরবনের বাঘ কখনও বৌদ্ধ হবে না। 

আমরা ভিক্ষুক হয়ে গেলেও 

যে কোনও দিন মহারাজা হয়ে যেতে পারি। 



সুতরাং এই গলিটাও ঐতিহাসিক গলি 

জাতীয় সড়ক কিনা তা পরের প্রশ্ন। 

শুধু নিমীলিত চোখে প্রজ্ঞার কুসুম ফুটতে দেখি 

আর দূর বিস্তৃত মানব সঞ্চার 

যেখানে ইচ্ছা জন্মাক সবাই — 

সময়ের উচ্চারণ থেকে নির্ণীত রাস্তায় 

যে যেমন হাঁটতে থাকুক 

পরিধি জুড়ে ফুল ফোটে তার 


বাক্য ও অর্থের অতীত বাক্য 

নারী ও নারীর অতীত নারী 

চণ্ডীদাস শুধু আসে যায় 

আকাশের বিদ্যুৎ সভায় আলো অন্ধকার 

মৃত গান্ধীর পাশে জীবিত কার্ল মার্ক্স শুয়ে থাকে 

অথবা শুধুই পদধ্বনি 

কারও আগমন বার্তা জানায় 



শেষ রোদ্দুর এসে নামছে বাবার মাঠে 

শুষ্ক চাষের মাঠ পিতৃতান্ত্রিক লাঙলে 

কতবার ফালা ফালা হয়ে গেছে 

তারপর ফুলে ফসলে গরিমায় 

আজ সেই মাঠ ডাকে উত্তরাধিকার 

অথচ সংশয় সূচক অব্যয়ের কাক 

মাথার উপর উড়ে উড়ে কী সতর্ক করে ? 

গার্হস্থ্য মোহনা থেকে ফ্লাইওভার ক্রিয়া 

ভেসে আসে 

পেরিয়ে যেতে পারি দূর সন্নিকট 

আর নিজের ভেতর কাঙাল 

ঐতিহাসিক এক মগ্নতা নির্ণয় 


যে নাম ধরে তোমরা ডাকো 

আর পদবির পাশে ধর্মব্যঞ্জনায় 

ব্যাখ্যা করো 

আমি তার কতটুকু বিন্দু ও বিন্ধ্যাচল ? 

বরং নিজস্ব বৃত্তে গভীর ব্যাসার্ধ 

যে ব্যাসার্ধে রোজ হাঁটে জয়দেব বাউল 



পিতার কর্ষণ ভূমি আমাকেও নিয়ে চলো 

সংশয়ের ক্ষেত পাহারায় 

দগ্ধ নক্ষত্রগুলি আশ্লেষ দহনে 

আজ শুধু সময় উড়ায় 

সময় 

আমি শুধু ক্রিয়াপদ থেকে 

ব্যাপ্তির প্রাচুর্যে মিশে যাই।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ