এক সময় ওরা এতটুকুও চিনতো না কেউ কাউকে।
প্রেম কি, তার
অস্পষ্ট ধারণা নিয়ে
ছেলেটি কল্পনার প্রেয়সীকে খুঁজত ইতি উতি শুধু!
কাদের যেন প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও ছিল;
বলত- অন্ধ প্রেমে ফাঁসে জানিস কত না তরুণ?
শিউরে উঠা গল্প শুনে কিশোরের প্রেমাভিসার-সাধ
বন্দী ছিল এক অজানা আশঙ্কায়-
পাছে কেউ 'নরকের
কীট' হয়ে
এসে
তার 'সুবোধ
সুবোধ' জীবনটাকে
করে তোলে দুর্বিষহ!
ভেতরে স্ব-আরোপিত হাজার নিষেধাজ্ঞার ত্রাসে
সযত্নে সে এড়িয়ে যেত একা কোন নারীর সংসর্গ,
অর্বুদ দেহকোষে অনুভূত দুর্নিবার আকর্ষণেও
অন্তরে পুষে রাখত দ্বন্দ্বের সুদীর্ঘ অন্তর্দাহ,
জোর করে জীবন থেকে দূরে হঠিয়ে দিয়ে আয়াস,
সংশ্লিষ্ট যত লোভ, যাবতীয়
মোহ আর বিলাস!
এরই মাঝে একদিন এক শুভক্ষণে-
পুরো অচেনা সে নারীর হঠাৎই খুব কাছে চলে আসা;
দু'জনের দু'জনকে
সেই প্রথম দেখা-
তাও সমাজের বিবাহ নামের পরম্পরার আয়োজনে।
না ছিল পূর্ব পরিচয়ের কোন নিভৃত ইতিহাস,
না পরস্পরকে ভালবাসার ন্যূনতম কোন সুযোগ।
তবু বুঝি ঈশ্বর-নির্দেশে তরুণীটির কাছেই জমা ছিল
পরিণত তরুণ যুবাটির ঈপ্সিত শ্রেষ্ঠ ধনরাজি!
তাই কি একই সত্তায় তার দর্শন ঘটল
একাধারে বিশ্বের কোটি প্রেমিকার সংহত রূপের?
সাথে নিয়ে ভালবাসা শ্রদ্ধা আর শাসনের ঐকতান?
প্রেম কি, স্পষ্ট
করে কেউই তা জানে না এখনো-
শুধু জানে- একের সাজানো ওই ভরা পুণ্য ডালিতে
নিবেদিত অর্ঘ্যেই অপরের সব মলিনতার অবসান!
আর ভাবে- যদি এ পাওয়ার নাম প্রেম নাই বা হবে,
এ জীবনে অন্য প্রেমের প্রয়োজন আছে কিছু তবে?
0 মন্তব্যসমূহ