শুনলাম আজ নাকি বন্ধুত্ব দিবস!
তাহলে ওই দিনটায় কি ছিল, যেদিন
সেই দু'টি ছেলে
প্রাইমারি থেকে দুই হাইস্কুলে চলে যাবার মুখে
প্রথমবার একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে খুব কেঁদেছিল?
বাবারা বললেন- "কি আছে, একই
ছোট্ট শহরে
দুজনের দেখা হতে অসুবিধে কি?
রবিবার ছুটির দিনে চলে যাবি একে অন্যের বাড়ী,
একসাথে খেলাধুলা, কিছু পড়াশোনা
সবই তো চলতে পারে, ঠিক আগেরই মতো!"
হাতে গোণা কয়েকবার তেমনটা হয়েও ছিল; কিন্তু-
কেউ বুঝল কই, মনটা কি ভরেছিল তাদের?
মাত্রাছাড়া খুনসুটিতে কোন একজন দুঃখ পেলে
মান ভোলাতে অপরের দীর্ঘ সাত দিনের অপেক্ষায়?
তারপরেও, ঈশ্বর নামে অচেনা অদেখা সেই শক্তির
আবারো ঐ বালকদের জন্যে এক নিষ্ঠুর বিধান!
হঠাৎই- বাবাদের একজন বদলি- তাও অনেক দূরে-
অন্য এক নামী রাজ্যের কোন এক ব্যস্ততম নগরে।
দু'টি অভিমানী মন যখন অব্যক্ত কান্নায় ভাসছে,
এক বাবা তখন অন্য বাবাকে জানাচ্ছে- 'বেষ্ট
লাক'!
অদৃশ্য শক্তির পীড়নে দু'টিতে
যেন লাঞ্ছিত! বিস্মিত!
বাবারাও ওদের ব্যথায় এত নির্বিকার, নিস্পৃহ?
তারপরে বয়ে গেছে বহুদিন বহুমাস বহুবছর,
জীবননদে জোয়ারভাঁটা, কাছে-দূরের অজস্র খেলা!
মঞ্জুরী মিলেছে ঈশ্বরেরই নিক্তি-মাপা সীমিত বন্ধনের-
দু'জনের জীবনসঙ্গিনীরা এখন দুই বোনেরই মতো,
বাবার বন্ধুপত্নীরা দু'পক্ষেরই ছেলেমেয়ের 'মাসী',
হাসিকান্না সবই আজো ভাগ করে নেয় দুই প্রৌঢ়।
বিরহবিধুর প্রথম ভালবাসার সে
স্পর্শ এখনো অম্লান,
কিছু যার মেঘলা দিনে উথলে উঠা মধুময় স্মৃতি।
0 মন্তব্যসমূহ