ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

সমান সমান - প্রতীক মিত্র

লোকটার পাতলা হয়ে আসা চুল, বেরিয়ে আসতে চাওয়া শিরা-ধমনী,কঙ্কালসার শরীরে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বড় বড় দুটো চোখ...সব মিলিয়ে সে ও না হলেও প্রায় ওরই মতন দেখতে।একবারের জন্য বোতল থেকে জল খাওয়ার সময় মাস্ক খুলে হাঁ করলে দাঁতের মধ্যিখানে ফাঁকও হুবহু ওর মতন।তাছাড়া ফোনে কারো সাথে কথা বলার সময়ও হাত-পা নাড়াচ্ছিল যেভাবে সেটাতেও ওরই ছাপ।ও নয় কিন্তু ওরই মতন কেউ একজনকে দেখে অদ্ভুত শুধু লাগছিলইনা অদ্ভুত সব অনুভুতিগুলোও ভীড় জমাচ্ছিল। যেমন  ওর ক্ষমা চাইতে ইচ্ছে করছিল সেই সমস্ত মানুষদের যাদেরকে অ্যাদ্দিন ও খুব জ্বালাতন করে এসেছে।প্রথমেই ওর বউএর কথা মনে এল যে ওর প্রেমে ডুবে না গেলেও পড়েছিল।বিয়ের আগেই বেশ ক’বার ঝগড়া শেষে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ভিত্তিটা ছিল সন্দেহের ওপর দাঁড়িয়ে।ঠিকই তো ওর স্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানো উচিৎ।স্ত্রী ওকে  বাতেলাবাজ, প্রবঞ্চক বলে অভিসম্পাত দিলেও

ও মুখবুজে সয়েছে যেভাবে সয়ে নিয়েছে লোকটা যাকে ওরই মতন দেখতে।কিন্তু লোকটার সাথে তো অন্যায় হল।লোকটা মুখ বুজে সইলো কেন?ওর সামনে লোকগুলো ধুমপান করছিল বলে ও বারণ করেছিল।ওর কথা শোনে তো নি উলটে চোখ বড় বড় করে ওকে কড়কে দেওয়াতে ওর এই প্রথম ওর মতন দেখতে লোকটার ওপর বিরক্তি লাগলো। ও চাইছিলো লোকটা কিছু বলুক।নিদেনপক্ষে ওই লোকগুলোর দিকে চোখে চোখ রেখে কথা বলুক।না তাও বলেনি।ওর বেজায় খারাপ লাগলেও ও সামলে নেয়।বলে কি লাভ।লোকটাকে ওর মতন দেখতে হলেও ও তো নয়।ভাগ্যিস!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ