ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

ঈশ্বর ও নিষাদ -শান্তময় গোস্বামী


জানো… সমরেশদা, আমি এক বিছে ভরা পাঁচিলের পাশে
দাঁড়িয়ে রয়েছি… আর চেয়ে দেখছি কলোনির ছাপোষা সবুজ
সেখানে এখনও ঝুঁকে পড়েনি কোনও অন্ধকার।
সমরেশদা … অনেক নদীতে এখনও কুয়াশা ভাসে
গিলে খায় আলো… পথহীন পথে হেঁটে বেড়ায়
জীবন্ত সব অন্ধকার… হেমন্ত শেষের রাত গলে জল হয়ে যায়
মেঘলা জলে আশ্রয় নেয় ডুবে থাকা স্মৃতি…
শবযাত্রা… হলুদ কঙ্কালের মরিচঝাঁপি।
আমি আহ্লাদী বিছানার ওপর নিচে
যেদিকে তাকাই, আমি রৌদ্রের হ্যাঙ্গারে বা পিঁপড়ের কান্নার কলরবে
যেখানে তাকাই… অন্ধকার, শুধু অন্ধকার।
সমরেশদা … আমি কিছু মেরুন রঙের গানে কথায় বেঁচে আছি।
সত্যি, এ এক আশ্চর্য সময়…
এখানে রাত্রির মাছিরা সব ঝরে পড়ে থাকে শুকনো পাতার মত
অরণ্য শেয়াল বাতাসে ধোঁয়াশা খুঁজে পায়… কাছে ঘেঁসে না
অন্তঃপুরীরা শান্তিপুরী শাড়ি পরে ঈশ্বর সুখে কেঁদে ওঠে ঘোমটা খুলে।
সন্দেহ হয় সমরেশদা, যাবতীয় ঈশ্বরীয় ইচ্ছায় নিষ্ঠুর কিছু হাত
পৃথিবীর আদি নিষাদ–ভয়কে অন্ধ বিশ্বাসে বাঁকায়।
ঈশ্বরকে হাতে পেয়ে ভাতে মারে, ক্ষমতা পেলে কুড়িয়ে খায়
ঈশ্বর বরাবরই একটা পাথুরে ভঙ্গী… তাকে ভেঙে- ভাঙিয়ে
কিছু মানুষ থুতু চেটে খায়… একদিন, প্রতিদিন।
ঈশ্বর সেই কবে ভুল করে বানিয়েছিলেন মাটির মানুষ…
স্বল্প আর্দ্রতায় গলে যায়… পাথর হয়ে থামাতে পারে জনরব
বিষ ও বিষক্ষয়ে নিষাদেরা জেগে থাকে… মুচকি হাসেন একাকী ঈশ্বর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ