("ও রে হাল্লারাজার সেনা
তোরা যুদ্ধ করে করবি কি তা বল")
ধর্মক্ষেত্রে ধর্মপুত্র চলেছেন কুরুসেনা অভিমুখে
দুর্যোধনের অর্বাচীন অট্টহাসি
আত্মসমর্পণ করতে আসছেন দেখো
ওই জ্যেষ্ঠ পাণ্ডব! হাঃ হাঃ!!
নিঃশব্দে স্মিত হাসলেন পিতামহ,
আভূমি নত যুধিষ্ঠির গঙ্গাপুত্রের পদরেণুকণা
ভক্তিভরে মস্তকে ধারণ করলেন,
পিতামহ বললেন, বিজয়ী ভব!
তখন বজ্রবিদ্রোহে ফেটে পড়লো দুর্যোধন
শত্রুপক্ষকে বিজয়ী হওয়ার
আশীর্বাদ করলেন পিতামহ?
একি পক্ষপাতদুষ্ট বিচার আপনার?
ভীষ্ম বললেন, প্রণম্যের একমাত্র উপহার হলো
তার সাফল্যের আশীর্বাদ।
দ্রোণাচার্য ও কৃপাচার্যকে প্রণামের পর
যুধিষ্ঠির তখন ফেরার পথে,
দেবব্রত বললেন দুর্যোধন, শীঘ্র যাও!
যুধিষ্ঠিরকে প্রণাম করে বিজয়ীর আশীর্বাদ
পুনরায় ফেরত নাও বৎস!
তখন অন্তরীক্ষ থেকে পারিজাতবৃষ্টি হলো
অপ্সরাগণের মঙ্গলশঙ্খধ্বনি শোনা গেল
মানবজাতির হৃদয় আকুল হলো
চিরকালীন শুভকামনায়।
কিন্তু তা তো হবার নয়
সপ্তরথীর চক্রব্যূহের বলি সুভদ্রাতনয়।
দিগন্তে অবধারিত আশঙ্কার মেঘ
শকুন ও শকুনির নির্মম ক্রূর হাসি
নিরপরাধ যোদ্ধারা তাই প্রাণবলি দিলেন
রক্তাক্ত রণক্ষেত্র হয়ে উঠলো যেন রেড-সী।
0 মন্তব্যসমূহ