ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

চারটি কবিতা -তৈমুর খান


অবগাহন 

জলে নামব, নামবই জলে 
জল যদি আজ কথা বলে 
ভিজিয়ে নেব অশ্রুগান 
কুড়িয়ে নেব অধরা স্নানগুলি 


সকল কিছুর পরও সকল কিছু থাকে 
খুঁজতে আসি তাকেই 
জিজ্ঞাসা আর স্রোতের কাছে 
মাথা নোয়াই 
                মাথা নোয়াই একান্ত নিভৃতে 


যদিও আজ শূন্য জল, শুভ্র মেঘ 
সবাই চলে গেছে 
পায়ের চিহ্ন পড়ে আছে দিগন্তের পথে 
ধুলো ওড়া রোদ্দুরের আগুনে তা কাঁপে 


সেই আগুনও বৃষ্টি লিখতে জানে 
সেই আগুনও খুঁজতে আসে হারানো শ্রাবণে 




কেউ শুনল না

একদিন মেঘের দিকে চলে যাব 
একদিন হাওয়ার দিকে 
একদিন জল ও আগুনের দিকে 
তারপর নেমে আসব মাটিতে 

সহজ কথাটি বলতে বলতে 
গলা ধরে গেল 
কেউ শুনল না—
সবাই ছুটল ঈশ্বরকে খুঁজতে 


ঈশ্বর আবার কে? কে ঈশ্বর? 


এক একজন সুন্দরী মহিলা 
সম্পূর্ণ নগ্ন হতে চেয়ে বলল :
আমিই ঈশ্বরী 


এক একজন সদ্য যুবক 
তির্যক হাসতে হাসতে কাছে এসে বলল :
আমিই ঈশ্বর 





প্রত্যেকেই আক্রান্ত জলাতঙ্ক অসুখে 

অসভ্যতা পেরিয়ে যাচ্ছি আমরা 
অন্ধকারের শিরদাঁড়া বেয়ে 
যেখানে আলোর ভুবন বানিয়েছে 
সভ্য মানুষেরা 
যেখানে সবাই কাপড় পরে ঘুমায় 
যেখানে সবাই সম্ভ্রমকে কাছে ডাকে 


আমাদের নষ্ট হওয়া দিনগুলো 
আয়ুর সীমানা ঘেঁষে কেবলই ক্রন্দন করে 
প্রত্যেকেই আক্রান্ত আমরা জলাতঙ্ক অসুখে 
অসভ্য কুকুর এসে দংশন করে গেছে 
‘বাঁচাও’ শব্দটা আজ অন্ধকারে ক্রন্দনের মতো বেজে ওঠে…. 




স্বর্গ-নরক

 এই স্বর্গে একটা নরক বানিয়ে দাও
 তোমার পাহাড় দেখতে দেখতে আমরা নরকে যাব।
 আমাদের নরকের পিপাসা এখন
 তোমার ঝরনা দেখতে দেখতে আমরা নরকে যাব।
 সম্মোহনী চাঁদের জ্যোৎস্নালাগা শরীরে রমণগন্ধ ওঠে
তোমার সঙ্গম দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা নরকে যাব।
 শরীরের সব ভাঁজ খুলে খুলে বেরিয়ে আসছে আগুন
 তোমার আগুনে হৃদয় সেঁকে সেঁকে আমরা নরকে যাব।
 এত শিস দেওয়া পাখি নরকে বসন্ত আনে
 তোমার পাখির গান শুনতে শুনতে আমরা নরকে যাব।
 এখন পৃথিবী ভর্তি নরক, এখন নরকই স্বর্গ
 এখন তোমার নরকেই আমরা স্বর্গ বানিয়ে নেব।


 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ