ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

অটোগ্রাফ প্লিজ! -পুষ্পার্ঘ্য দাস


|| এক ||


জা

নুয়ারির মাঝামাঝি। কদিন একেবারে হাড়-কাঁপানো ঠান্ডা! সংবাদ মাধ্যম রোজ বলে চলেছে, আজকেই মরশুমের শীতলতম দিন অথবা গত কুড়ি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ।

এখন ভোর পৌনে ছটা। কুয়াশার চাদরে মোড়া সকালের আলো এখনো আড়মোড়া ভাঙছে। আর ওই যে ‘দ্য লেকভিউ অ্যাপার্টমেন্ট’ নামক বহুতল আবাসন, ওর পাঁচতলায় দক্ষিণ-পূর্ব কোণের থ্রি বি.এইচ.কে ফ্ল্যাটটাতে বিরাজ করছে অসীম শূন্যতা, যার নেমপ্লেটে লেখা আছে ‘অরিন্দম মুখার্জি’। ফ্ল্যাটের একমাত্র বাসিন্দা এখন ব্যালকনিতে। তার গায়ে কেবল পাতলা একটা ফিনফিনে জামা। ঠান্ডায় অল্প অল্প কাঁপছে সে। সারারাত না ঘুমিয়ে চোখদুটো রক্তজবার মত লাল। বহুদূর থেকে দেখলেও লোকটার হাতে ধরা সাদা কাঠির লাল বিন্দুটা পরিষ্কার দেখা যাবে। অ্যাশট্রে উপচে পড়ছে সিগারেটের স্টাবের ঠেলায়।

ব্যালকনিটা বেশ বড়, যেকোনো ছোট ফ্ল্যাটের একটা ঘরের সমান প্রায়। পুরো বারান্দাটাই প্রায় গাছে ভর্তি। গ্রিল ধরে ধরে মানিপ্ল্যান্ট উঠে চলেছে তরতরিয়ে, সবুজ আগুনের লেলিহান শিখার মত। মানিপ্ল্যান্টের কথা বলতে মনে পড়ল, ফ্ল্যাটের বৈভব দেখলে বোঝা যায়, বাড়ির মালিকের ‘মানি’র কোনো অভাব নেই। নিষ্পলক দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে রয়েছে, বড়রাস্তার ওদিকের ফুটপাতে কম্বলমুড়ি দিয়ে কুঁকড়ে-মুকড়ে শুয়ে থাকা মানুষটার দিকে।



অরিন্দমের কথা


ওই যে ফুটপাতে লোকটা শুয়ে আছে, যার দিকে পথচলতি মর্নিং ওয়াক করা লোকজন ফিরেও তাকাচ্ছে না, তাকে আমি চিনি। চিনি বলাটা হয়ত ঠিক হল না, মানে দেখি রোজ। লোকটা যাকে বলে একেবারে বদ্ধ পাগল। চোখের দৃষ্টি ঘোলাটে। সারাদিন কাকে যেন বাপ-মা তুলে খিস্তি দিয়ে যায়। মাঝে মাঝে ভাবি, এরা আসে কোথা থেকে। হঠাৎ হঠাৎ উদয় হয়। যেমন এই লোকটাও কয়েকদিন আগেই এসেছে। কেউ কি ওকে ছেড়ে চলে গেছে এখানে? তার উদ্দেশ্যেই কি ওইসব চোখা চোখা সম্ভাষণ?

লোকটার গায়ে বহুদিন পরিষ্কার না করা বাথরুমের মেঝের মত পুরু ময়লা। কতদিন যে স্নান করেনি, তার ঠিক নেই। চুল আর দাড়ি বেড়ে বেড়ে মুখটাকে ঢেকে ফেলেছে প্রায়। সেখানে বাসা বেঁধেছে কিছু পরজীবি। আমার মনের সাথে ওর চুল-দাড়ির অনেক মিল খুঁজে পাই।

রাস্তার কুকুরগুলো অবধি লোকটার গা ঘেঁষে না। হয়তো তারা শত্রু মনে করে ওকে। কারণ আমি দেখেছি, ডাস্টবিনে ফেলে যাওয়া খাবারের জন্য কুকুরগুলোর সাথে সাথে ওই লোকটাও ছুটে যায়। কিন্তু বাকি সময়টা কুকুরগুলোও যেন ওর উপস্থিতি অগ্রাহ্য করে।

বোতাম ছেঁড়া জামা আর তাপ্পিমারা প্যান্ট কীভাবে আটকাবে শীতের এই মরণ কামড়? এরকম ঠান্ডায় ওভাবে থাকলে হয়তো মরেই যেত। গতকাল আমি চুপিচুপি পুরানো একটা পুলওভার আর কম্বল দিয়ে এসেছি। ইচ্ছে করে কিছু জায়গায় ছিঁড়ে, নোংরা করে, তারপর দিয়েছি। আজ নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে।

অবশ্য পাগলটার একটা সুপার পাওয়ার আছে, যেটা অধিকাংশ লোকেরই থাকে না, সেটা হল অদৃশ্য হয়ে থাকার। আশেপাশের কেউ যেন ওর উপস্থিতি টেরই পায় না। 

সত্যি কথা বলতে কী, পাগলটার এই সুপার পাওয়ার দেখে হিংসায় আমি জ্বলে পুড়ে মরি। ও যদি ওর অদৃশ্য থাকার ক্ষমতাটা আমায় দিয়ে দিত, তাহলে আমিও নির্দ্বিধায় আমার সমস্ত সম্পত্তি দিয়ে দিতাম ওকে। তারপর ও উঠে আসত আমার ফ্ল্যাটে আর আমি নেমে যেতাম ফুটপাতে। যতই হোক, মিস্টার ইন্ডিয়া হওয়ার শিকে কি সবার ভাগ্যে ছেঁড়ে?


|| দুই ||


অরিন্দম মুখার্জি - বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উদীয়মান তারকা। গত তিন বছরে সবচেয়ে বড় প্রোডাকশান হাউস থেকে ছটি ছবি, দুটো ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড। তার মধ্যে চারটে ছবি সুপারহিট। অরিন্দমের জীবনে এই ফ্ল্যাটটার অন্তর্ভুক্তি ওর শেষ ছবিটার পারিশ্রমিক হিসেবে। বাংলা ছবির জগতে ওর উত্থান অনেকটা রূপকথার মত। ছবিতে আসার আগে একটা থিয়েটারের দলে ছিল। সমসাময়িক সামাজিক, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে নাটক করত ওরা। কোনোরকম লাভক্ষতির হিসেব করে নয়। অন্যরকম লোভ একটা ছিল অবশ্য - সমাজে বদল আনার লোভ।

সবসময় যে মঞ্চ পেত তা কিন্তু নয়। কিন্তু তাতে ওদের মনোবল কিছুতেই দমে যেত না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ত, শুরু করে দিত পথনাটিকা। অফিসবাবুদের ভিড়ে কিছু উৎসাহী দর্শকও মিলে যেত। হাততালিও জুটত বেশ ভালোই। এভাবেই চলছিল। অরিন্দমও একটা দলের অংশ ছিল। আলাদা করে তার কোনো পরিচয় ছিল না, কেউ তাকে দাগিয়ে দিত না। নিজের অভিনয়ের সময়টুকু ছাড়া ভিড়ের পেছনেই থাকতে ভালোবাসত, যাতে কেউ দেখতে না পায়।

ছোটবেলা থেকেই অরিন্দমের অভিনয়ের শখ। পাড়ায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যখন নাটক মঞ্চস্থ হত, তখন রিহার্সালের শুরুর দিন থেকে মঞ্চে অভিনীত হওয়ার দিন পর্যন্ত সে ওই নাটকদলের সঙ্গেই সেঁটে থাকত। তার পাগলপারা উৎসাহ দেখে নাটকের লোকজন ওকে খুব পছন্দ করত। আর এক-আধবার ছোটবাচ্চার কোনো পার্ট পেলে তো আর কথাই নেই। যতটুকু সংলাপই থাক না কেন, সারাদিন কখনো বাড়ির ছাদে, কখনো স্কুলে, কখনো বা খেলার মাঠে নিজে নিজেই রিহার্সাল দিয়ে যেত। একটা বাক্যকে অনেকবার, অনেক ভাবে ভেঙেচুরে যেটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ হত, সেটাই তুলে নিত শুধু।

অতটুকু ছেলের অভিনয় প্রতিভা দেখে অবাক হত অনেকেই। বাহবা দিত, উৎসাহ দিত। প্রশংসা শুনলেই, পিঠ চাপড়ানি পেলেই কুঁকড়ে যেত সে। কেন্নোর গায়ে কাঠি দিয়ে ছুঁয়ে দিলে যেমন গুটিয়ে যায়, ঠিক সেরকম। বাইরের লোকে তো আর আসল কারণটা জানত না।


অরিন্দমের কথা


ছোটবেলা থেকেই কেন জানিনা, মানুষের সংসর্গ আমায় বিচলিত করত। মনে হত, এই যদি কেউ আমাকে ডেকে ফেলে! সাড়া তো দিতেই হবে। তারপর আমাকে চালিয়ে যেতে হবে অভিনয় - তার সঙ্গে কথা বলার, কথা বলে খুশি হওয়ার। আবার কখনো যদি কোনো আলোচনার মধ্যমণি হয়ে উঠতাম, তাহলে তো কথাই নেই। দমবন্ধ হয়ে আসত আমার। মনের মধ্যে শুধু একটাই চিন্তা- কখন এই অত্যাচার থেকে মুক্তি পাব!

আসলে নিজের সাথে যে জগৎ আমি মনে মনে সৃষ্টি করেছিলাম, শুধু সেখানেই আসল রূপে থাকতে পারতাম। বাকি সবকিছু মেকি মনে হত। সামাজিকতার ভিড়ে আমার সেই জগৎ কোথায় যেন হারিয়ে যেত! কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে অভিনয়ের সময়, আশেপাশে মানুষ থাকলেও আমি অনায়াসে প্রবেশ করতে পারতাম নিজের জগতে। অভিনয় শেষ হলেই আবার কেউ যেন আছড়ে ফেলত বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে। অদ্ভুত এই বৈপরীত্য। অভিনয়ের সময় সত্যিকারের বাঁচছি আমি, আর সত্যি জীবনে করছি অভিনয়। একটা সময় এমন এল, যখন অভিনয় শেষ হলেই লোকজনের চোখ এড়িয়ে পালাতে শুরু করলাম। তবুও ‘নিয়তিঃ কেন বাধ্যতে!’ এত সাবধানতা সত্ত্বেও সেই একজনের চোখে পড়ে গেলাম।


|| তিন ||


সমকালীন বাংলা সিনেমার পরিচালকদের মধ্যে অবিসংবাদিত বাদশা হলেন ইন্দ্রনীল আচার্য। ইন্দ্রনীলের ছবি দেশে, বিদেশে বিপুলভাবে সমাদৃত। তাঁর সব সিনেমাতেই উঠে এসেছে নতুন কোনো মুখ। একই অভিনেতার সঙ্গে শুধু অভিনয়ের গুণে একাধিকবার কাজ করারও বিপক্ষে তিনি। চিত্রনাট্য লেখা শেষ হলে রক্তমাংসের মানুষের মধ্যে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ান তাঁর কলমে সৃষ্ট চরিত্রকে। যেখানেই তাদের পান, তুলে আনেন সেখান থেকে। এদের মধ্যে কেউ হয়তো অভিনয় করেইনি কোনোদিন। ইন্দ্রনীল ঠিক গড়েপিটে নেন তাদের!

অরিন্দমের ক্ষেত্রে অবশ্য কাজটা অনেক সহজ ছিল। অরিন্দম তৈরী অভিনেতা। যদিও অরিন্দমের সঙ্গে ইন্দ্রনীলের দেখা হওয়াটা নিতান্তই কাকতালীয়। রাস্তায় হেঁটে যেতে যেতে হঠাৎই চোখে পড়ে অরিন্দমদের পথনাটিকা। ওর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে যান তিনি। নাটকটি শেষ হতেই দেখলেন, অরিন্দম নিজের বাইকে চড়ে পালাবার তাল করছে। ছুটে গিয়ে আটকালেন তাকে। বাকি সব বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের মত, অরিন্দমও এক লহমায় চিনে ফেলল ইন্দ্রনীলকে। দু-চার কথায় প্রাথমিক পরিচয়ের পর ইন্দ্রনীল সরাসরি অভিনয়ের প্রস্তাব রাখলেন অরিন্দমের কাছে। দারুণ ঘাবড়ে গেল সে। সময় চেয়ে নিল কয়েকটা দিন। তারপর অনেক ভেবে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে গেল। অভিনয়ের নতুন একটা দিক জানার এবং নিজেকে অন্য একটা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চেনার লোভ ছাড়তে পারল না।

অরিন্দম যদিও তখন কল্পনা করতে পারেনি যে তার ডেবিউ ছবি ‘নক্ষত্রের জন্ম’ তাকে পুরস্কার এবং জনপ্রিয়তা, এই দুইয়েরই শিখরে পৌঁছে দেবে। আর পাঁচটা লোক যে জনপ্রিয়তার জন্য মাথা খুঁড়ে মরে, অরিন্দমের কাছে সেটাই আতঙ্ক হয়ে দাঁড়াল। এই চোরাবালি থেকে বেরোনোর পথ খুঁজে পেল না সে। একদিকে অভিনয়ের নেশা, অন্যদিকে অটোগ্রাফ, সেলফির কফিন। একটা একটা সিনেমা পেরিয়ে বাইরের খোলসটা খ্যাতির যত চূড়ায় উঠতে লাগল, ভেতরের অরিন্দম ততই প্রবেশ করতে লাগল পাতালে। আজ এই শীতের ভোরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে এইসবই স্মৃতিচারণ করছিল সে। সারারাত না ঘুমিয়ে একটা ঘোরলাগা মত তৈরী হয়েছে। আজ আবার স্থানীয় একটা মেলার উদ্বোধন করতে হবে তাকে। এতদিন পালিয়ে পালিয়ে একা হওয়ার চেষ্টা করেছে। আজ নাহয় মেলার ভিড়েই অদৃশ্য হওয়ার চেষ্টা করে দেখবে একবার।


অরিন্দমের কথা


ভিড়! সেই ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া! কেউ কি পেছন থেকে ডাকল নাম ধরে? মাইকে শোনা গেল কি – “অরিন্দমবাবু, আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, সত্ত্বর আমাদের মঞ্চের সামনে চলে আসুন। আপনাকে জনসাধারণ খুঁজছে!” কিন্তু একটা আস্ত দামড়া লোক হয়ে, আমি হারিয়ে গেলাম কীভাবে?

তখনই ডানদিকে নজরে পড়ল বাড়ির উল্টোদিকের ফুটপাতের সেই পাগলটা। ছোপওয়ালা দাঁত নিয়ে বিড়িতে একটা সুদীর্ঘ টান মেরে সে বলল, “ন্যাকামি মারাচ্ছ? পেছনে বাম্বু ঢুকিয়ে দিলে না এই হারিয়ে যাওয়ার ন্যাকামি, বের হওয়ার আর রাস্তা খুঁজে পাবে না।”

সত্যিই তো! ন্যাকামি ছাড়া আবার কী! ওই পাগলটার কথাগুলো যেন আমারই প্রতিবিম্ব। কী সহজভাবে বলে গেল লোকটা! তাকে দাঁড় করিয়ে বলতে ইচ্ছে হল, “বিশ্বাস কর! আমি সত্যি সত্যি হারিয়ে যেতে চাইনি। আমি তো খুঁজে পেতে চেয়েছিলাম। আমার অস্তিত্ব, আমার গন্ডী, আমার অসীমতা। সেসব খুঁজতেই তো এই ভিড়ের মধ্যে ছদ্মবেশ নিয়ে ঢোকা...”

পাগলটা কখন যেন ডানদিক থেকে বামদিকে চলে এসেছে! আচ্ছা, লোকটা কি মনের কথা পড়তে পারে? খ্যাঁক খ্যাঁক করে হেসে বলল, “তুমি তো শালা ন্যাকাষষ্ঠী পুরো। দুবেলা দুমুঠো চাল জোগাড় করতে লোকের পেছন ফেটে যাচ্ছে আর তুমি সেখানে কাব্যি মারাচ্ছ! শালা, তোমরা পারোও বটে।”

লজ্জায় থুতু ফেলে সেই থুতুতেই ডুবে যেতে ইচ্ছে করল আমার! এত স্পষ্টভাবে আমাকে কেউ কোনোদিন কিছু বলেনি! একরাশ গ্লানি ছেয়ে ফেলল যেন। যদিও এই মেলার লাইট শো, চিৎকার ইত্যাদি বেশিক্ষণ সেই গ্লানি ধরে রাখতে দিল না। আর গ্লানিটা সরে যেতেই লোকটার প্রতি জড়ো হল একরাশ ঘৃণা। একদলা থুতু ফেললাম। যে থুতুতে নিজে মরার ইচ্ছে হচ্ছিল, এখন মনে হল, ওকেই ডুবিয়ে মারি! কে শালা তুমি হরিদাস পাল? আমাকে নীতি শেখাতে এসেছ!

চটক ভাঙতেই দেখি ভিড়ের মধ্যে আমার সামনে কতগুলো হাত, পেন আর পেপার এগিয়ে দিচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের মুখ রোবটের মত। গলা দিয়ে বেরোচ্ছে যান্ত্রিক আওয়াজ, “অটোগ্রাফ প্লিজ!”

অবাক হয়ে গেলাম! এত ভিড়ের মধ্যেও এরা ঠিক আমায় চিনে ফেলেছে! তাহলে আমি যে ভাবলাম, আমি হারিয়ে গিয়েছি! পুরোটাই কী মনের ভুল? হ্যালুসিনেশন?

আর ঠিক তখনই আমায় চমকে দিল মাইকের আওয়াজ! সেই পাগলটার গলা, আমার নাম ধরে ডাকছে! স্টেজের দিকে তাকালাম।

ওই তো মালটা! আরে ওকে স্টেজে উঠতে দিল কে? আবার হাতে মাইক্রোফোন! ঠোঁটের কোণে ব্যঙ্গের হাসি। নাটকীয় স্বরে বলছে পাগলটা, “কী ভেবেছ চাঁদু? টাকা দিলেই কি সব পাওয়া যায়? অদৃশ্য হওয়া কি এতই সোজা?”


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ