অন্ধকার ডুবে গেলে আলোর পৃথিবীর
সামনে তুমি একা, সবকিছু প্রতিভাস-
আয়নায় ঝুলে পড়া প্রৌঢ়ের মুখ ললাট লেখন,
ঘুন ধরা সভ্যতার খোল নলচে
আষ্টেপৃষ্ঠে বয়ে বেড়াও।
একটি নির্মীয়মান পৃথিবীর ভ্রূণে অসম্পূর্ণ হৃদয় এখনো ফোটেনি মানবিক চোখ,
আসেনি স্পন্দন।
সম্পৃক্ত মেঘ নেমে আসে যেখানে নৈর্ঋতে
শিরিষের বনে ধূসর বিবর্ণ এক অদিতি
পত্রহীন গোত্রহীন পর্ণমোচী হয়ে--
বেলা শেষে উদ্ভিন্ন কলরবে পা মেলায়
ঝড়ের দিক বুঝে নিতে চায়
দিকভ্রান্ত নাবিকের মতো।
খননে উঠে আসে তিতাসের বুকে
দ্রাবিড়ের জনপদ অজীর্ণ ফসিল,
মানুষের ঋগ্বেদে যখন
হয়নি কোনো মাছেদের পরাগ মিলন
নাভি পদ্ম থেকে ফোটেনি যখন
কোনো সৃষ্টির আবিল ভূষণ,
কৌমের বল্কল বাস শরীরে জড়ানো ছিল
বহুকাল ধরে,
আকালের পথ ধরে পরিযায়ী পাখিদের মতো তীর থেকে তীরে--
একটি নদী আর মৃত্তিকার অলস যাপন।
0 মন্তব্যসমূহ