ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

বেকারত্বের কয়েকটি শব্দ -জাহ্নবী পাল

 


আমার অস্থির অরণ্যচারী মন-

অনবরত সংসারের পাকেচক্রে পড়ে যায়।

মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানের মতোই-

আমি গুটিয়ে বারবার ছোটো হয়ে যাই;

এতটা ছোট, যাতে বেকারত্ব আর অপমানের অসহায় ভার আমায় ছুঁতে না পারে।

আমার শিক্ষিত পরিনামহীন ছয় ফুটের শরীরটাকে,

টেনে হিঁচড়ে বারবার নিয়ে যেতে চাই মহাশূন্যে-

আদিম যাত্রার পথে আবার হেঁটে ফিরতে চাই;

যাতে শূণ্য থেকে একের পর এক যোগ আসে জীবনে-

বিয়োগ বড় বালাই।


আমি আমার পরাজিত এই অস্তিত্ব নিয়ে তার কাছে যাই না।

স্রোতের বিপরীতে যাওয়া নৌকোর মতো ঈশ্বরের অমোঘ সব নিয়মের উপেক্ষা করে,

আমি তাকে দূরে ঠেলে দিতে চাই;

' না না কেউ নেই কেউ থাকে না'- আমার দুর্বিনীত চিৎকারে পৃথিবীর প্রতিটা পাথর কেঁপে ওঠে,

অথচ সে কেন পাহাড়ের মতো স্থির!

কেন আমার উপেক্ষার তীব্রতা তাকে নুড়ি পাথরে ভেঙে দেয় না!

হায় ঈশ্বর, আমার অনুতাপের অস্পষ্ট শব্দ সে কিভাবে শুনে নেয় অগোচরে?

অথচ তুমি এতটা বধির?


এতটা অসহনীয় এই সময়,

 এতটা নিরুপায় আমি;

তবু যেন ভয়াবহ শৈত্যের আঘাত কোন এক উষ্ণ আঁচে এসে গলে যায় বারবার;

যেন কোন অজানা শক্তির রেশ শিহরণ ছড়িয়ে দেয় শিরার ও শিরার অভ্যন্তরে;

ভাগ্যকে বদলে দেবার অদম্য উচ্ছ্বাস ঘিরে ধরে-

আমি মহাশূন্য থেকে ফের পথে এসে নামি।


বেকারত্ব আর দুঃখের অভিশপ্ততা যেদিন আমায় আর গ্রাস করতে না পেরে

ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যাবে সাফল্যের দরজায়-

আমি সেদিনের অপেক্ষায় পথে নামি।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ