ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

চলে যাবো, গেলেই বা.. -সুজয় দাস

চলে যাবো,

যেভাবে ভোরের বেলায় কুয়াশার শরীর ছুঁয়ে 

শুকতারা চলে যায় একা একা-

আমিও চলে যাবো।

 

 

তবু মুহূর্তের অগোচরে অপেক্ষমান তাঁর শীতল হাতের ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়ার আগে

যেকটা  নীরবতা প্রাণপণে চিৎকার করে হাজারো না'বলা কথা বলে যেতে চায় অবিরাম, শুনে যাবো সব।

পাহাড়ের গায়ে পাহাড় রেখে, মনের ওপর মন রেখে,

পাথরের উপর আরেকটা পাথর চাপিয়ে দেখে যাবো শিশিরের ছেলে খেলা।

দেখে যাবো বাংলার মুখ,

শুনে যাবো শীতের দুপুরে মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে রাখা হলদে সাগরের একরোখা হাতছানি।

কাক ভোরে ঘুম ঘুম চোখে দেখা ম্লান ঘুঘুটার অম্লান নাচানাচি কোনদিন ভুলবোনা।

ভুলবোনা আল পথে হেঁটে যাওয়া সোনালী কিশোরীর রাঙ্গা মুখখানি।

ভুলবোনা নেংটি শিশুর নেশাতুর চাহুনিটা,

ভুলবোনা তার ফেলে যাওয়া অসহায় পায়ের ছাপ।

 

 

 তবু তারপর,

 সময় হলে, সমন এলে-

 ফিরে যেতে হবে জানি।

 

 

 তবু তারপর,

 আমি চলে গেলে তুমি এসো

 আমার সযত্নে রেখে যাওয়া নিঃশব্দতাদের কাছে চুপিচুপি।

 জিজ্ঞেস কোরো-

কি ছিল বাকি?কি পাওয়া হয়নিকো?কিইবা রয়ে গেলো হেথা?

একরোখা উত্তর পাবে-

সব কথা বলা হয়ে গেলে পর না'বলা কথার ভীড়ে

 যে ভাষা পরে থাকে একা,

 সে ভাষায় উত্তর পাবে।

 একরোখা সে ভাষার মানে কোন এক এমনই শীতের ভোরে

 কুয়াশায় নিভন্ত শুকতারার নিশ্চুপ চলে যাওয়া দেখে

 নিশ্চুপ বুঝে নিও একা একা।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ