তখনও চাঁদ ওঠেনি আকাশে
চাঁদের মুখের কালো কালো ছোপ
তখনও উজ্জ্বল হয়নি এতটা —
তখনও হাওয়া ওঠেনি চারপাশে
কচুরিপানায় ঢাকা নদীতে তাই
তখনও ঢেউখেলানো চুলের মতো স্রোত ওঠেনি এতটা।
চন্দ্রিমামুখের জ্যোৎস্না ভেসে ওঠেনি কম্পিত আয়নায়
তখনও চারপাশের অন্ধকারে —
তখনও গাড়ি চলতে শুরু করেনি ব্রীজের উপরে
মাঝখানের নির্জন সুনসান রাস্তা তখনও শান্ত
কচুরিপানা বুকে জড়িয়ে নীচে ঘুমন্ত নদীর মতোই।
তখনও সব চুপচাপ ছিল
ঝপ — একটা রক্তভেজা বস্তা যে পরেছিল নদীতে
কচুরিপানার নীচে যে সবুজ জল লাল হয়েছিল
কেও দেখেনি তা,
দেখেছিল শুধু লরির চালকটা এক মুহুর্তমাত্র
ভেজা যুবকটা রাস্তায় বসেছিল যেন ধ্যানে
বৃষ্টি যদিও নেই কোত্থাও চারিদিকে
পিছন ফিরে তাকায়নি সে আর
ঘুম যদিও ভেঙে গিয়েছিল তার
শুধু তারই — তখনও ভোররাত
শুধু জাগার জন্যই কি ঘুমায় সবাই !
না —
শান্তি ঘুমের থেকেও মূল্যবান
শান্তি এ ভোরের থেকেও মিষ্টি।
তখনও ঠান্ডা রক্ত ফোটা ফোটায় পরছিল গড়িয়ে
টুপ টাপ – টপ টপ
ব্রীজ থেকে কচুরিপানার সবুজ পাতায় পাতায়
জল তো লাল হয়েছিল আগেই
তখনও চারপাশে শান্ত অন্ধকার
তখনও সূর্য ওঠেনি আকাশে।
0 মন্তব্যসমূহ