আমি স্পষ্টতই ধরে নিয়েছি,
আকাশ মানে, বিছানার উপরে শুয়ে
সোজাসুজি তাকালে
যে সিমেন্টের পৃষ্ঠা চোখে পড়ে,
সংক্ষেপে সেটাই।
তারার মতো উজ্জ্বল মাকড়শার জাল,
ঠাকুরের সামনে জ্বালানো
প্রদীপের কালো ছাই
ওর পাঁজরে জমা হয়।
ধোঁয়ায় গন্ধে ধূমপান,
মশাদের অবস্থা কাহিল।
যক্ষায় কক্ষপথের টিকিট
তাদের হারিয়ে গেছে বইয়ের তাকে।
বইয়ের তাকে গিটার,
আবাদি জমিতে ফলানো ধাতু গাছ,
গা বেয়ে নেমে এসেছে ছ'টা বটের ঝুরি।
বয়স তরতর করে বেড়ে উঠছে যেন,
অস্পৃশ্যতা এখন নতুন বিষয়,
আবিষ্কারের নেশা সুরের ভাঙ্গন নীতি।
গলা নিচু করে ডেকে উঠি মায়ের নাম ধরে,
মায়ের এখন পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই।
পঞ্চাশে পন চায়নি কেউ,চেয়েছে ছেলের
হাতে দু'বেলা দু'মুঠো ভাত।
ছেলের হাত!
গরম ভাত!
পান্তা নদীতে ফেনা,খাটের তলায় বন মাছি।
পেট গলছে,সাদা জল পচে সাদা মাছ
বাতাস গিলতে ডাঙায় আসছে পায়ে হেটে।
বিড়ির তামাকে বিপ্লব
বুঝি এই প্রথম ঘটলো ইতিহাসে!
0 মন্তব্যসমূহ