
- বই – ঠাকুরবাড়ির সারদাসুন্দরী
- লেখিকা – কাবেরী রায়চৌধুরী
- প্রকাশক – দে’জ পাবলিশিং
- প্রচ্ছদ ও অলংকরণ – রঞ্জন দত্ত
- প্রকাশকাল – বৈশাখ ১৪২৬
- মুদ্রিত মূল্য – ৩০০
একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাহিত্যের পিরিয়ড চলছে। সদ্য নতুন বছরে উত্তীর্ণ হওয়া কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র–ছাত্রী মিলিয়ে মোট প্রায় একশ কুড়িজন। বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক ত্রিদিব স্যার পুরুষতান্ত্রিকতা প্রসঙ্গে বলার শুরুতে হঠাৎ প্রশ্ন করলেন, “বলো তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবার নাম কি ছিল?” সাথে সাথে শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত সব কটা হাত একসঙ্গে ওপরে উঠে গেল। এবং প্রায় সমস্বরে জবাব এল- “মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর”। একটু মুচকি হেসে মাথা ঝাঁকিয়ে সবার দিকে তাকালেন স্যার। বললেন, “বাহ্! সবাই জানো দেখছি। খুব ভালো। এবার বলো তো ওনার মায়ের নাম কি ছিল?” প্রথম সারিতে বসা সদ্য নতুন ইস্কুলে ভর্তি হওয়া আমি হাত তুললাম। এবং সবিস্ময়ে দেখলাম সারা শ্রেণীকক্ষে একমাত্র আমিই হাত তুলেছি। স্যার বেশ চওড়া হেসে বললেন, “ব্যস্? মাত্র একটা হাত উঠলো? একজন মাত্র জানে? বাকি কেউ জানে না?” এবার অনেক কন্ঠের হালকা ফিসফিসানি শুরু হল – ‘কি নাম রে মায়ের?’,’মায়ের নাম আবার কি ছিল?’,’রবীন্দ্রনাথের মা? তিনি আবার কি করেছিলেন?’,’যা বাব্বা ! মায়ের নাম আবার কি করে জানবো?’ …
স্যার আমার দিকে তাকালেন উত্তরের জন্য। উত্তর দিলাম “সারদা দেবী”। স্যার জিজ্ঞাসা করলেন, "আর কিছু জানো ওনার সম্পর্কে?” আমি ভয়ে ভয়ে না বলে মাথা নিচু করে নিলাম। স্যার দুঃখিত স্বরে বললেন– “ভেবে দেখ কবিগুরু রূপে বিশ্ববন্দিত মানুষটিকে যিনি গর্ভে ধারণ করেছিলেন, লালন পালন করেছিলেন, তাঁর নামটুকুও তোমরা কেউ জানোনা। অথচ বাবার নাম, জ্যাঠার নাম, দাদুর নাম সব তোমরা জানো। এবার পুরুষতান্ত্রিকতা বোঝানো অনেক সহজ হবে আমার।“ সেদিন আমি এত গভীর তত্ত্ব আত্মস্থ করতে পেরেছিলাম কিনা জানিনা। শুধু একটা বিস্ময় নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলাম যে রবীন্দ্রনাথের মায়ের নাম কেউ জানেনা!!
পরবর্তীকালে যখন রবীন্দ্রনাথকে জানার চেষ্টায় যখন অল্প বিস্তর পড়াশোনা করেছি, তখনও লক্ষ্য করেছি কবিমাতা সম্পর্কে সত্যিই বিস্তারিত তথ্য কোথাও ঠিকভাবে জানতে পারা যায় না। এক আলাপচারিতায় লেখিকা কাবেরী রায়চৌধুরীর কথাতেও এই একই কথা প্রতিধ্বনিত হল। তাঁর থেকেই জানলাম যে প্রায় সাড়ে তিন বছরের গবেষণালব্ধ ফল তাঁর লিখিত বই “ঠাকুরবাড়ির সারদাসুন্দরী”। বইটি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন–
"সারদা দেবী সম্পর্কে কোথাও বেশি তথ্য পাওয়া যায় না।একটা গোটা বইয়ে হয়ত মাত্র একটা বাক্য আছে তাঁর সম্পর্কে। এক একটি বই থেকে এক একটি বাক্য যোগাড় করে তারপর বই লিখেছি। পড়তে হয়েছে প্রচুর বই।"
সেই একটি একটি করে যোগাড় করা বাক্যের সাথে নিজের কল্পনার রঙ মাখিয়ে লেখিকা রচনা করেছেন অতীতের এমন এক নারী ও তাঁকে ঘিরে গড়ে ওঠা এমন এক অধ্যায়ের যা এতকাল প্রায় অজানাই রয়ে গেছিল। যা পড়লে যে কোনও সংবেদনশীল পাঠকের মন দ্রবীভূত হয়ে ওঠে। তাই বইয়ের বিষয়ে কিছু লেখার পূর্বে লেখিকার সেই অক্লান্ত পরিশ্রমকে কুর্ণিশ ! এবং তাঁকে ধন্যবাদও জানাই বাংলা তথা ভারতীয় সাহিত্যের পরিচয়বাহকের মাতৃদেবীকে বিস্মৃতির অন্ধকার থেকে তুলে এনে পাঠকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি। সাহিত্যপ্রেমী বাঙালির তীর্থভূমিস্বরূপ। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িকে বাংলার নব জাগরণের আঁতুড়ঘর বলে গণ্য করলেও ভুল বলা হয় না। এই বাড়ির যে সন্তান বাংলা তথা ভারতকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, স্বমহিমায় উজ্জ্বল যে মানুষটির নামের সাথে সমগ্র দেশের নামও উচ্চারিত হয়ে থাকে - সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জননী সারদা দেবী রয়ে গেছেন অন্তরালে, হারিয়ে গেছেন বিস্মৃতির আঁধারে। কেউ খোঁজও রাখেন নি অন্তঃপুরবাসিনী সেই নারীটির, যিনি এক এক করে পনেরোটি সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। যাদের প্রায় প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে ইতিহাস রচনা করে অমর হয়ে গেছেন। আক্ষরিক অর্থেই রত্নগর্ভা সেই নারীকে কেউ দেয়নি তাঁর প্রাপ্য সম্মান। কেউ খোঁজ রাখেনি তাঁর দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, আনন্দ, ইচ্ছা–অনিচ্ছার। দেশ–কাল–সমাজের পুরাতন সংস্কার মুক্ত করার মহান ব্রতে অগ্রগণ্য কলকাতার এই বনেদী বাড়ির পুরুষরা পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজনটুকুও বোধ করেননি তাঁদেরই অন্তঃপুরের এক নিরীহ, সরল, প্রতিবাদহীন নারীর মানসিক ও শারীরিক যাতনাকে।
শাকম্ভরী নামের শিশুকন্যাকে মাত্র সাত বছর বয়সে হঠাৎ ধূমকেতুর মত তাঁর মায়ের অগোচরে যশোরের দক্ষিণডিহি থেকে তুলে নিয়ে চলে আসা হয় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বিবাহ দেওয়ার জন্য। এই বাড়ির বড় ছেলে সতেরো বর্ষীয় দেবেন্দ্রনাথের সাথে তাঁর বিয়েও হয়ে যায়, কিন্তু হাজার মন খারাপ কান্নাকাটি সত্ত্বেও মায়ের সাথে আর দেখা হয়না আজীবন। পিরালি ব্রাহ্মণ কন্যা শাকম্ভরী, কুশারি ব্রাহ্মণত্ব হারিয়ে পিরালি ব্রাহ্মণ হয়ে যাওয়া ঠাকুর পরিবারে এসে তাঁর শাশুড়িমায়ের ইচ্ছায় হয়ে যান সারদা। জিজ্ঞাসা করার সাহসও জাগে না যে তাঁর পিতৃদত্ত নাম পরিবর্তনে যদি তাঁর ইচ্ছা না থাকে, তাহলেও তা পরিবর্তিত হবে কিনা। শশ্রুগৃহে পদার্পণের সূচনা থেকেই যেন কোনও অদৃশ্য নির্দেশে ছোট্ট মেয়েটি বুঝে যায় এই পরিবারের সমস্ত নিয়ম কানুন বিনা বাধায়, বিনা প্রতিবাদে মেনে নেওয়াই তাঁর একমাত্র কর্তব্য। আর তাই সম্ভবত জীবনের শেষ দিন অবধি এই ধারাই অব্যাহত রয়ে যায়। প্রবল ব্যক্তিত্বময়ী শাশুড়িমা দিগম্বরী দেবী ও দিদিশাশুড়ি অলকাসুন্দরী দেবীর ছত্রছায়ায় পূর্ণরূপে বিকশিত হওয়ার পূর্বেই তাঁরা এক এক করে ইহলোক ত্যাগ করেন। বিবাহিত জীবনের শুরু থেকে ঠাকুরবাড়ির আদব-কায়দা, ঠাঁটবাটের শিক্ষাদানের মাধ্যমে যে শৃঙ্খল তাঁর পায়ে পরানো হয়েছিল, ঊনপঞ্চাশ বছরের জীবনযাত্রায় একবারের জন্য সেই শৃঙ্খল ভাঙ্গার চেষ্টাটুকুও তিনি করতে পারেন নি। স্ত্রীরূপে আজীবন স্বামী দেবেন্দ্রনাথের থেকে পেয়েছেন অবহেলা ও উপেক্ষা। তিনি বুঝেছিলেন তাঁর স্বামীর কাছে তাঁর প্রয়োজন শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদা মেটানো ও সন্তান উৎপাদন ছাড়া আর কিছুই না। কিন্তু বহুবার তীব্র প্রতিবাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ব্যক্তিত্বহীনতা ও মানসিক দুর্বলতা তাঁকে চুপ থাকতে বাধ্য করেছে। যে মানুষ সমাজ সংস্কারকরূপে বিখ্যাত, যে মানুষ নারী স্বাধীনতা তথা স্ত্রী শিক্ষা নিয়ে সমাজে বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডের কাণ্ডারি, যে মানুষ ব্রাহ্মধর্ম প্রতিষ্ঠার লক্ষে যাবতীয় প্রাচীন সংস্কার বিসর্জনের ডাক দেন, সেই মানুষটিই বাড়ির অন্দরমহলে নিজের স্ত্রীকে অসূর্যস্পশ্যা করে রেখে দেন, কথায় কথায় স্ত্রীকে হেয় করেন, যা দেখে অবাক হতে হয়। অবাক হতে হয় 'মহর্ষি' উপাধিতে ভূষিত মানুষটির এই দ্বিচারিতা দেখে।
প্রায় দেড়শ বছর আগে রক্ষণশীল বঙ্গীয় সমাজের অন্যান্য সাধারণ পরিবারের তুলনায় ঠাকুরবাড়ির মেয়েরা অনেক বেশি স্বাধীন মানসিকতায় উজ্জ্বল ছিলেন। কিন্তু সেই একই পরিবারে চিকের আড়ালে থাকা পুত্রবধূদের জীবনের অন্ধকারময় দিকটি অনেকাংশেই গোপন করে রাখা হয়েছে যুগের পর যুগ ধরে। সারদাসুন্দরীর সাথে সাথে এই বাড়ির অন্য দুই বধু যোগমায়া দেবী ও ত্রিপুরাসুন্দরী দেবীর কথাও উঠে এসেছে এই বইয়ে। তাঁদের অবস্থাও এমন কিছু ভিন্ন ছিল না। নিজেদের ইচ্ছা–অনিচ্ছা, শখ আহ্লাদ সব মনের গভীরে লুকিয়ে রেখে দিনাতিপাত করাই ছিল একমাত্র উপায়। এমনকি নিজের সন্তানদেরও সারদাসুন্দরী নিজের কাছে রাখার অনুমতি পাননি। পরিবারের নিয়মানুযায়ী দাসীর হাতেই সন্তানদের সমর্পণ করতে হয়েছে। একাধিক সন্তান প্রসবের যন্ত্রণা অসহ্য হয়ে ওঠা সত্ত্বেও মুখ ফুটে নিজের আপত্তি জানাতে পারেননি কারণ ওই টুকুই স্বামীসঙ্গ সম্বল ছিল। পরিবর্তে বিষণ্ণতা ও অবসাদে লুটিয়ে পড়েছেন স্যাঁতস্যাঁতে পূতিগন্ধময় আঁতুড়ের ঠাণ্ডা মেঝেতে। প্রতিবার সন্তান জন্মের পর কান্নায় বুক ভাসিয়েছেন স্বর্গত মাকে স্মরণ করে। কেউ খোঁজ রাখেনি প্রসবপরবর্তী অবসাদ আক্রান্ত সারদার। বাড়ির স্বনামধন্য লেখকরা কেউ প্রয়োজনবোধ করেননি তাঁর বিষয়ে দু’ছত্র লেখার। তিনি দেখা দিয়েছেন বাড়ির কন্যা ও পুত্রবধূদের স্মৃতিচারণায়।
মৃত্যুশয্যাতেও সেই নারী স্বামীর থেকে পেয়েছেন চরম অবহেলা, জোটেনি ন্যুনতম সাহচর্য, সহানুভূতি। মৃত্যুকাল আসন্ন জানিয়ে বারংবার টেলিগ্রাম করা হলেও দেবেন্দ্রনাথ স্ত্রীকে দেখতে আসার প্রয়োজনবোধ করেননি। মৃত্যুর একদিন আগে নিজ প্রয়োজনে অল্প কিছুক্ষণের জন্য কলকাতায় এসে একবার দেখা দিয়েছিলেন সারদাদেবীকে। তাঁর এই নিঃশব্দ আঘাত সারদাদেবীর মৃত্যু ত্বরান্বিত করেছিল। কাবেরী রায়চৌধুরী লিখিত এই বই সাহিত্যপ্রেমী সেই সমস্ত বাঙালি, যারা ঠাকুর পদবীধারী প্রায় সবাইকেই অবচেতনে হয়ত দেবতার আসনে বসিয়ে পূজা করার মানসিকতা রাখেন, তাঁদের নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে বাধ্য করে। সারদাসুন্দরী - যিনি পড়তে ভালবাসতেন, লিখতে চেয়েছিলেন নিজের না বলতে পারা অজস্র জমে থাকা বেদনার কথা, কিন্তু কোনোদিনও কলম তুলে কাগজে আঁচড় কাটা হয়নি। সেই সুপ্ত ইচ্ছাই হয়ত তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের মধ্যে বাহিত হয়েছিল, যারা পরবর্তীতে বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডার পূর্ণ করে গেছেন। এই বই এক অনবদ্য দলিল সেই সময়ের যে সময় বঙ্গনারী অন্তঃপুরের আঁধার থেকে বহির্জগতের আলোতে উদ্ভাসিত হতে চাইছে অথচ প্রদীপের তলায় অন্ধকারের মত সেই বৈপ্লবিক সূচনার কাণ্ডারিদের ব্যক্তিগত জীবনে নারী শুধুমাত্র ভোগের বস্তু হয়ে জীবন কাটিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছেন। সেই ভারী হয়ে আসা দীর্ঘশ্বাসের শব্দও সুচতুরভাবে প্রভাব খাটিয়ে চাপা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাতে তা বিপ্লবের পথে অন্তরায় না হতে পারে।
আমি আজ এই বইয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়া দিতে অক্ষম। শুধু এই বই পড়ে নিজের অনুভুতিটুকুই ব্যক্ত করতে পারলাম। কিছু বই হয় যা অন্তরাত্মায় গভীর ছাপ ফেলে যায়।গভীরভাবে সমাজিক রীতিনীতি সম্পর্কে ভাবায়। এই বই যে কোনও চিন্তাশীল পাঠককে সেই চিন্তায় ভাবনায় নিমগ্ন করবে। এই বই প্রতিটি সংবেদনশীল ও সহানুভূতিশীল পাঠককে ভাবাবে। পৃথকভাবে তাই মুদ্রণ, প্রচ্ছদ, অলংকরণ সম্পর্কেও কিছু লিখলাম না। লেখিকার দীর্ঘ গবেষণার কষ্ট সফলতা লাভ করে তখন, যখন বই পড়ে অজান্তেই পাঠকের চোখ ভিজে যায়। কিছু কিছু ঘটনার বর্ণনা এত জীবন্ত যে একজন পাঠককে ছাপিয়ে একজন নারী হিসাবে অনুভব করতে পারি সেই সমস্ত যন্ত্রণা। নিঃশ্বাস আটকে আসে স্ত্রীর অধিকারে স্বামীকে কিছু কথা বলতে চেয়ে প্রতিবার “তুমি কিছু বুঝবে না” শুনে ফিরে আসা অপমানিতা তরুণীর অসহায়তায়। একাত্মবোধ করি আঁতুড়ঘরের অন্ধকারে ছটফট করতে থাকা সারদাসুন্দরীর প্রসবপরবর্তী অবসাদ বিষণ্ণতায় ভেঙ্গে পড়ার মুহূর্তগুলোতে। মন অবসন্ন হয়ে ওঠে যখন পরম মমতাময়ী এক মাকে সারাজীবন নিজ সন্তানদের কাছে পাওয়ার জন্য আকুল হয়ে থাকতে দেখি। দুঃখ জাগে রত্নগর্ভা শব্দের সমার্থক সারদাসুন্দরীর বিশ্ববিখ্যাত সন্তান রবীন্দ্রনাথের লেখাতেও যখন তিনি উপেক্ষিতা থেকে যান। দক্ষিণডিহির সাতটি বছরই শাকম্ভরীর প্রকৃত জীবন উদযাপন, পরবর্তী বিয়াল্লিশ বছর হল অভিজাত পরিবারের শাসনের শৃঙ্খলে বন্দিনী, উপেক্ষা–অবহেলা-লাঞ্ছনা- অপমানকে নিত্যসঙ্গী করা সারদাসুন্দরীর এক চলমান অভ্যাস, যা তাঁর কাছে জীবন নামে অভিহিত।বাংলার প্রথম সারির অভিজাত বনেদী পরিবারের অন্দরমহলে চির উপেক্ষিতা অবহেলিতা রত্নগর্ভাকে আমরা চিনতে ও জানতে পারি কাবেরী রায়চৌধুরী লিখিত এই বইয়ের মাধ্যমে।
0 মন্তব্যসমূহ