দেখানেপনা
সামা ধরা
আদরের সুতোয় বুনে রাখতেই পারো
সপরিবার
হাসিমুখ ছবি বৈদ্যুতিন দেওয়ালে
পছন্দের
প্রাইমার ঢেকে যায় এক মাত্রিক শব্দজালে
দেওয়ালের
কঙ্কালে তবু রয়ে যায় একরোখা ঘুণ
সময় বেঁচে
গেলেও, সম্পর্কের
লাশ ঘুমিয়ে থাকে
মর্গের
শীতকালীন গহ্বরে...
আমার বকুল তলায়
বকুল
বীজের বাঁশি বাজিয়েছি কিশোরী বিকেলে
আঙুলের
ফাঁক থেকে সুর মিশে যেত বড়দিঘীর জলে
বিষণ্ণ
সুন্দরীর মত নেমে এলে সন্ধ্যা, ফিরতে হত
ফিরে
এসেছি, শিশুকাল
আটকে আছে বকুলের ডালে
শুকনো
ধূসর পাতার পাতায়, লেখা বছর
দশ
মন কেমনের
মধ্যবেলায়, শরীর ক্ষত
রস...
দীর্ঘশ্বাস পান করে বেঁচে আছি
পানীয়ের
বোতলে জমে আছে দীর্ঘশ্বাস
আমার? প্রতিবেশীর? অথবা সেই তার --
যাকে
দেখার জন্য জীবন ছেড়ে পরে নিতে হয়
মৃত্যুর
পোষাক...
আবর্জনার
স্তূপে দাঁড়িয়ে পান করে চলেছি
উষম
ভালোবাসার সোনালী তরল...
0 মন্তব্যসমূহ