অনন্ত অন্ধকার বুকের ভিতর
নৈশব্দের স্রোত বয়ে চলেছে নিরবধি,
মহাসংগীতের মত।
উচ্চারিত হয় অন্তরাত্মার প্রলাপ।
ভেজানো আগল খুলে গেলে প্রবাল দ্বীপের নুড়ি পাথর গুলো জেগে উঠছে প্রাচীণ
অনুভব ছুঁয়ে;
তুমি আর সারা পৃথিবী এখন নিশ্চুপ
বাইরে কোথাও কিছু ঘটছে না!
মনের ভেতর ভাবনার ইঁদুর দৌড় অবিরাম
একটা সত্ত্বা মাঝখানে দাঁড়ায় অহেতুক;
কিছুটা সময় ভারমুক্ত, অদৃশ্য যন্ত্রণারা…
রক্তের নীল ঝরনা তখনও ঝরে ধীর মন্থর স্তব্ধ
সুনিপুন; একটা স্বপ্ন
জাগে জেগে ওঠে, সুস্থ
পৃথিবীর চোখ
নতুন সকালের মায়া আছড়ে পড়ুক
আমাদের প্রিয় পৃথিবীর বিক্ষত বুকে;
আগাছাও প্রানবন্ত হোক, ফুটুক প্রাণের মুকুল।
মানুষই শুধু কাঁদায় মানুষকে,
গর্হিত এ অপরাধ সমীচীন নয়, সকলেই জানি;
তবু কেন পরাভূত হই নিজের কাছে;
কোন বাধ্যবাধকতায়! সূর্য জানে না পক্ষপাত
কেন বিভক্ত হই দ্বেষ, বিদ্বেষের ঘৃণায়, অহংকারে।
0 মন্তব্যসমূহ