সেই হিংস্র সরীসৃপটা আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে-
মানুষকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেবে না কিছুতেই;
লক্ষ লক্ষ প্রাণ হারিয়ে এই সবে মহামারীর বিরুদ্ধে
কিছুটা রাশ টানার আত্মতৃপ্তিতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল মানুষ,
তখনি পুরনো ঘৃণ্য এই আদত আর লম্ফঝম্পের শুরু-
ক্ষমতা আর স্বার্থের মোহে গোষ্ঠীগুলোর মেরুকরণ-
পৃথিবীকে অশান্ত করার লক্ষ্যে দাঁতনখের উগ্র প্রদর্শন,
দুর্বল প্রতিপক্ষকে শিকার বেছে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া-
গুপ্তশত্রুরাও ঝোপ বুঝে কোপ মারতে তৎপর;
উস্কে দেয়ার ছদ্মবেশী হিতাকাঙ্খীর অভাব নেই কোন।
হোক না মৃত্যু, জনসংখ্যার হাল্কা হ্রাসে ততটা ক্ষতি কার?
ঢের লাভ অস্ত্র বেচায় বা জ্বালানি দখলের নিশ্চয়তায় !
তাই মুখে অস্বীকার করেও তলে তলে আগ্রাসী প্রস্তুতি-
লেলিয়ে দেবার শয়তানী এ দোসর পুষে রেখেছে সবাই-
পাশ্চাত্যে প্রাচ্যে ডান বাম নীতি আদর্শ নির্বিশেষে
আধিপত্য বিস্তারের বেলায় সব শেয়ালের একই রা,
সেই সরীসৃপকে সময়ে সুবিধেতে তারাই ক্ষেপিয়ে তুলে-
মানবতা ধ্বংসী সেই কালনাগিনী সরীসৃপেরই নাম 'যুদ্ধ';
যার এক নগ্ন রূপ আজকের এই রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত।
0 মন্তব্যসমূহ