ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

উচ্ছিষ্ট খড়কুটোদের কিচিরমিচির -কৌশিক বিশ্বাস

 ছন্দের নিয়মে বাঁধা এ জীবনে 

তবুও নির্ভীক দুরন্ত চড়ুয়েরা

নখের খোঁজে খোঁজে - ঠোঁটের ভাজে ভাজে

ধূসর বাদামি পাখায় মুড়ে খড়কুটো বয়ে নিয়ে আসে

 ঘর গড়ার কোমল আনন্দ বুকে নিয়ে আসে 

আমার কঠিন ইট-কাঠ-বালি-সিমেন্টের অট্টালিকায় ,

জোনাকির মতো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উড়ন্ত প্রেম খড়কুটো হয়ে

বুলবুলিতে-অবহেলিত ধূসর অন্ধকারে

আলো নিয়ে আসে সযত্নে-আমার অট্টালিকায়।

 

আমার ঘরে এতো আলো- এতো আলো সব ফিকে হয়ে যায়

ঘুলঘুলি টিম টিমে ঐ আলোর কাছে,

ঘরের ভিতরে চারপাশে এত সাদা অথচ নির্জীব অন্ধকার

তবুও সাহস করে চোখ মেলে উপরে দেখি

ঘুলঘুলির ঐখান থেকেই 

একটু একটু আলো আসে-তাপ আসে যেন 

কাল শীতল অন্ধকারের রাত্রে সাদা সাদা বরফ পড়া 

আমার ঠান্ডা ঘরের তুষারপাতে।

ডিমফোটা খোলকের  আঁশটে  ঘ্রানের রোমাঞ্চ 

চড়ুইছানাদের  ছোট্ট ছোট্ট সবুজ- হলুদ পোকা খাওয়ানো স্নেহের ঠোঁট থেকে

কত উচ্ছিষ্ট তাজা মৃত রঙিন শরীর

কত উচ্ছিষ্ট প্রেম -কত উচ্ছিষ্ট খরকুটো- কত উচ্ছিষ্ট আনন্দ

আমার সারাটা পরিষ্কার বিছানা জুড়ে ছড়ায়

প্রতিদিন প্রতিরাত 

অসহ্য না -আমার কৌতূহল বাড়িয়ে দেয় আরও।

 

তাই আনমনে চুপচাপ রোজ রোজ শুধু দেখে যাই

জোনাকির মতো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উড়ন্ত প্রেম খড়কুটো হয়ে

অট্টালিকার ঘুলঘুলিতে-অবহেলিত অন্ধকারে

আলো নিয়ে আসে সযত্নে

প্রতিদিন -প্রতিরাত |

সেই দিন পর্যন্ত সব সময় দেখতাম এইসব আনমনে 

যেদিন পর্যন্ত্র সিলিং ফ্যানের ব্লেডে  ব্লেডে লাল রক্ত 

দেওয়ালের মেঝেতে ফিনিক দেওয়া রক্তের ছিটে 

আর আমার বিছানায়

হৃদয়চেড়া  চড়ুইদুটির রক্তাক্ত নিথর শরীর পরে ছিল না |

আমিতো সিলিং ফ্যান টা মুছে ফেলেছি

দেওয়াল আর মেঝেও 

বিছানা লাল চাদরটাও কাছতে দিয়েছি সেদিনই , 

শুধু ভুলগুলি গুলো পরিষ্কার করে ঝেড়ে ফেলতে পারিনি |

সেই কঙ্কালগুলোর হাড় থেকে খরকুটো থেকে 

আজও আলো ঠিকরে আসে উষ্ণতা ছড়াই যেন

কালো চারপাশে চোখ বুজলে আনমনে

শক্ত খরকুটোর নষ্ট বাসা ছড়ায় আমার নরম বিছানায় 

আর সবুজ-হলুদ শুঁয়োপোকার মাংস খাবার জন্য 

আজও কিচিরমিচির করে যেন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ