ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

ফ্যাকাশে বাড়ি -সৌমেন কর্মকার

 কদম বেলের ছায়া ঘেঁষে মেঘ বয়ে চলে যায় নিশ্চুপে

আমপাতা ঝরে ঝরে শুকিয়ে চেয়ে থাকে পাঁচিলে,

হলদে মৌমাছি আনন্দের ভিড়ে মজেছে সুগন্ধি কূপে

বসন্তের ফুলগুলো কুহুকুহু’র অপেক্ষায় ডাকবে কোকিলে।

মনে নেই হয়তো; চড়ুইয়ের আসা যাওয়া ছিলো সচরাচর,

রাঙা রোদের আলোতে এখনও স্পষ্ট জমাট ধুলোর স্তর।

শ্যাওলা দেয়াল জুড়ে থাকতো শালিকের-ঠ্যাং এর ব্যস্ততা

ঘুনপোকাদের দেখিনা, কতদিন পড়ে থাকা শালের কাঠে,

নিঃসঙ্গ-অসুখে ঝরেছিল রক্ত ঢেকেছে জংলী ঝুমকো লতা

ভাষাহীন ঘাস পেরিয়ে এসে ছোঁয়নি—আঙুল ধূসর কপাটে।

হাড় বেরোনো সিক্ত ইটের ভাঁজের কথাগুলো হারিয়েছে ভাষা।

খড়কুটো মুখে নিয়ে কাক দেখে নিভৃতে মলিন হতাশা।

পৃথিবীর গন্ধ-নিয়ে আসা বাতাসকে শোনে গুটিগুটি নক্ষত্রেরা

লম্বু গাছের মাথায় পেঁচার ডাকে সাড়া দিতো নিশুতি রাতি,

জবা—আকন্দর ঝোঁপ ছেয়ে নিবিড় আঁধার কোথায় সন্ধ্যাবাতি

পথখানি বড় শুনশান মোরগফুলের লাল আঁখিতে নীরবেরা।

ঝিঁঝিঁদের গানের আসর নয় বাদুড়ের ডানাই ভয়ের শাড়ি,

মন চুপ একদম! পা ফেলি নির্জনে সামনে ফ্যাকাশে বাড়ি।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ