১৮৪৫ এর ২রা মার্চ। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চললো। শুরু হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ছাত্রদেরকে নিয়ে বর্ণময় অনুষ্ঠান। সমাবর্তন বলা যায় কি? ছাত্র, অধ্যাপক ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরো বহু সভ্য তথা সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁদের সকলের উপস্থিতিতে ছাত্রদেরকে প্রদান করা হবে ডিপ্লোমা, বৃত্তি এবং মেডেল। এমন বর্ণাঢ্য সম্মেলনকে আর কি বলা যায়?
মঞ্চের মতো উঁচু পাদপীঠে দাঁড়ালেন ডা. এফ মোয়াট। আজ তাঁর জন্যে ভারি আনন্দের দিন। বিগত কয়েক বছর ধরে এই মেডিক্যাল কলেজের সচিব তিনি। তাঁর দূরদৃষ্টি আর সুপরিকল্পনায় যে অগ্রগতির সাক্ষী থেকেছে এই প্রতিষ্ঠান তা এক কথায় অভূতপূর্ব। ১০ বছর পেরিয়ে এসেছে ভারতবর্ষের প্রথম ইউরোপীয় চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ততদিনে। মোয়াট সাহেবের হাতে তখন বিগত ১২ মাসের বার্ষিক প্রতিবেদন। এক এক করে পড়ে শোনাতে লাগলেন, কতটা উন্নতি করেছে এই প্রতিষ্ঠান বিগত এক বছরে, শিক্ষা এবং চিকিৎসার বিভিন্ন পরিসরে। কত রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা হলো, কতগুলো নতুন হাসপাতাল তৈরি হল, একই সাথে কত নতুন বই, বৈজ্ঞানিক নমুনা আর সামগ্রীর জোগান পেল মেডিক্যাল কলেজ - তার বিশদ বিবরণ।
এই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ ছিল ডা. গুডিভ এবং ডা. র্যালের চলে যাওয়ার কথা এবং ডা. গ্রিফিথের জীবনাবসানে দুঃখ প্রকাশের কথাও৷ তাঁর প্রয়াণে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়৷ উল্লেখ করা হয় তাঁর মতো প্রতিভাশালী মানুষ, তাঁর মতো একজন অগাধ জ্ঞানভাণ্ডারী, তাঁর মতো একজন শিক্ষক এবং সর্বোপরি দারুণ মানবিক চরিত্রের অধিকারীর মৃত্যুতে সকলেই শোকাহত৷১
ঠিক এরপরেই ডা. মোয়াট চলে যান এমন সুসংবাদে, যা শুধু উপস্থিত সভ্য মহোদয়গণকে চমৎকৃতই করে না, এই পোড়াদেশে চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষার সুদূরপ্রসারী ইতিহাসেও এক মাইলফলক হয়ে রয়ে যায়। কি ছিলো প্রতিবেদনে? সবিস্তারে কি পড়ে শোনালেন, গৌরবান্বিত মোয়াট? এ আলোচনা সে প্রসঙ্গেই ...।
পিছিয়ে যাই আরো একবছর। ১৮৪৪-৪৫ খ্রিস্টাব্দ। বলা হচ্ছে, মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার পরবর্তী সময়ে হয়তো সবচাইতে গৌরবময় বছরগুলোর মধ্যে একটি এই সময়কাল। বিলিতি ডাক্তার খুব একটা সহজলভ্য না হলেও আজকের দিনে ভীষণ দুরূহ কোনো ব্যাপার নয় এমন তকমাধারী মানুষের সন্ধান পাওয়া। তবে যে সময়ের কথা বলছি, তখন 'ডাক্তার' শব্দটাই কতো দুর্লভ এ দেশে, তায় আবার বিলিতি। নাহ, এধরনের পরিভাষার আগমন তখনও ঘটেনি। তবে বেশিদিন সময় লাগলো না।
মেডিক্যাল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ডা. ব্রামলির সময় থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজের কোনো কোনো ছাত্রকে উচ্চতর শিক্ষার্থে ইংল্যান্ডে প্রেরণ করা হবে৷ বেশ কয়েকবছর পর সেই সুযোগ করে দিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর৷ আসলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শুরু থেকেই যে-ক'জন ভারতীয় কলেজের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর৷ এঁদের কথা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, সন্দেহ নেই৷
দ্বারকানাথ চেয়েছিলেন তাঁর দেশের ছেলেরা সফল চিকিৎসক হোন, চিকিৎসাবিদ্যায় গভীর আগ্রহান্বিত হোন, বিদেশে গিয়ে চিকিৎসাবিদ্যার উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোন, এঁরাই মেডিক্যাল কলেজের হাল ধরুন৷ মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো বিদেশের কলেজের সমতুল্য হোক৷
১৮৪৪ সালের শেষের দিকে দ্বারকানাথ ঘোষণা করলেন, ইংল্যান্ডে গিয়ে পড়াশোনার জন্য তিনি দু-জন ছাত্রের যাবতীয় খরচ বহন করবেন৷ সচিব মোয়াটও এই ঘোষণায় যারপরনাই খুশি। কিন্তু বাধ সাধলো ধর্মীয় সংস্কার। হাজার হোক, সে সমাজ তো আর আজকের দিনের মতো নয়। অধিকাংশ ছাত্রই বিলেতভ্রমণ করতে যেতে রাজি হচ্ছিলেন না শুধুমাত্র সমাজচ্যুত হওয়ার ভয়ে। কিন্তু অবশেষে একটা সুরাহা হলো। ভোলানাথ বসু নামে এক কৃতি ছাত্রকে রাজি করানো গেলো। কিন্তু, তিনি আবার পাল্টা শর্ত চাপিয়ে দিলেন- একজন নয়, তিনজন ছাত্রকে তাঁর সঙ্গে বিলেত নিয়ে যেতে হবে। এমন সুযোগ হাতছাড়া যাতে না হয়, তার জন্য কর্তৃপক্ষ ভোলানাথ ছাড়া আরও তিনজন ছাত্রকে খুঁজে বার করলেন যাঁরা সাহসী, অকুতোভয় এবং শিক্ষায় যথেষ্ট মেধাবী৷ এঁরা হলেন গোপালচন্দ্র শীল, সূর্যকুমার চক্রবর্তী এবং দ্বারকানাথ বসু৷
এঁদের মধ্যে দ্বারকানাথ ঠাকুরের অর্থে নির্বাচিত হলেন ভোলানাথ বসু এবং গোপালচন্দ্র শীল৷ সরকার একজনের জন্যে অর্থ বহন করলেন, তিনি সূর্যকুমার চক্রবর্তী এবং চতুর্থজন দ্বারকানাথ বসুর জন্যে অর্থ জোগালেন মুর্শিদাবাদের নবাব সৈয়দ মনসুর উল্লা খান বাহাদুর৷
হিসেব করে দেখা গেল যাওয়া-আসা, থাকা এবং পড়াশোনা করে জনপ্রতি ছাত্রের জন্যে খরচ হচ্ছে ৭০০০ টাকা৷
ঠিক সেই সময় দেশে যাবার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আরেক সাহেব ডাক্তার, ডা. হেনরি হ্যারি গুডিভ। ভারতবর্ষে চিকিৎসাশিক্ষার ইতিহাসে যে ক'জন বিদেশি অধ্যাপকের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে, নিঃসন্দেহে তাঁদের মধ্যে ডা. গুডিভ অন্যতম। শুধু তাঁকে নিয়ে বলতে হলে, এই একটা প্রবন্ধ যথেষ্ট নয়। ১৮৩৫ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী মেডিক্যাল কলেজে সহকারী সার্জন হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে যে অবদান রেখে গেছেন, তাতে শুধু কোলকাতা মেডিক্যাল কলেজই নয়, সারাদেশের মেডিক্যাল শিক্ষাব্যবস্থাই তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে।
সিদ্ধান্ত হলো ডা. গুডিভের সাথেই পাঠানো হবে চার তরুণ শিক্ষার্থীকে। আর হাসিমুখে চারজন তা মেনেও নিলেন, কারণ ডা. গুডিভের সাথে ছাত্রদের সম্পর্ক পিতাপুত্রের মতো। তাঁর চাইতে জনপ্রিয় শিক্ষক তখন মেডিক্যালে নেই।
সুতরাং 'বেন্টিংক' নামক স্টিমারে চেপে বসলেন ডা. গুডিভ তাঁর চার ছাত্র-সহ৷ দিনটা ছিল ১৮৪৫ সালের ৮ মার্চ৷ এর আগে ভারতীয়দের মধ্যে বিলেতে গেছিলেন কেবল রাজা রামমোহন রায় এবং দ্বারকানাথ ঠাকুর৷
ওই একই স্টিমারে ইংল্যান্ডে দ্বিতীয়বার যাবার জন্য সহযাত্রী হলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর নিজেই৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র নগেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ভাগ্নে নবীনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়৷
দ্বারকানাথ ঠাকুর আর ভারতে ফিরতে পারেননি, কারণ তিনি লন্ডনেই মারা যান ১৮৪৬ সালের ১ আগস্ট৷
জানতে ইচ্ছে করে এই চার মেধাবী ছাত্রের জীবনের ইতিহাস। সম্পূর্ণ জানা সম্ভব না হলেও সংক্ষিপ্ত পরিচয় জেনে নিতেই পারি তাঁদের।
ভোলানাথ বসু: লর্ড অকল্যান্ড প্রতিষ্ঠিত ব্যারাকপুর স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৫ বছর পড়েছেন এবং সেখানে তিনি উদ্ভিদবিদ্যার শ্রেষ্ঠ ছাত্র ছিলেন৷
গোপালচন্দ্র শীল: ইনি অ্যানাটমিতে রুস্তমজি কাওয়াসজি মেডেল পেয়েছিলেন৷
দ্বারকানাথ বসু: বাঙালি খ্রিস্টান; মেডিক্যাল কলেজে কিছুদিন প্যাথোলজিক্যাল মিউজিয়ামে সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন৷ ইনি জেনারেল এসেমব্লিজ-এর প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন৷
সূর্যকুমার চক্রবর্তী: ইনি চারজনের মধ্যে বয়সে সকলের ছোটো। খুবই মেধাবী, কুমিল্লায় থাকতেন৷
চার ছাত্র ডা. গুডিভের সাথেই থাকতেন ইংল্যান্ডে। প্রত্যেকেই নথিভুক্ত হলেন লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে। এঁরা প্রত্যেকেই লন্ডনে নিজেদের মেধার জোরে অর্জন করে নেন বেশ কিছু পুরস্কার, মেডেল।
ভোলানাথ বসু, গোপালচন্দ্র শীল এবং দ্বারকানাথ বসু ১৮৪৭ সালের নভেম্বরে এম.বি. পাশ করলেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে৷ ভোলানাথ বসু পরে সেখান থেকেই এম.ডি. পাশ করলেন৷ তিনিই প্রথম ভারতীয় এম.ডি.৷ এই তিনজনই ভারতে ফিরে এলেন- ১৮৪৭ সালে দ্বারকানাথ বসু, ১৮৪৮ সালে ভোলানাথ বসু এবং গোপালচন্দ্র শীল, সঙ্গে এলেন শিক্ষক ডা. গুডিভ৷ ইংল্যান্ডে রয়ে গেলেন সূর্যকুমার চক্রবর্তী৷ উল্লেখযোগ্য, ডা. দ্বারকানাথ বসুই হলেন প্রথম ভারতীয় ডাক্তার যিনি বিলেত থেকে MRCS করে প্রথম দেশে ফিরে আসেন৷
চারজনের মধ্যে হয়তো একজনের ব্যাপারে বিশেষভাবে বলতেই হয়। ডা. সূর্যকুমার চক্রবর্তী, পরবর্তীতে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হয়ে যার নাম হয় সূর্যকুমার গুডিভ চক্রবর্তী। প্রিয় শিক্ষকের নাম নিজে থেকেই যুক্ত করেন তিনি। শুধু তাই নয়, বহু লেখা, চিঠিপত্র থেকেই জানা যাচ্ছে, সূর্যকুমার এই চারজনের মধ্যে গুডিভের সবচেয়ে প্রিয় ছাত্র ছিলেন। ছেলেবেলায় বাবা-মা হারানো অনাথ এই ব্রাহ্মণসন্তানের প্রতি একপ্রকার মায়া পড়েছিল হয়তো তাঁর। ভীষণ প্রতিভাবান সূর্যকুমার লন্ডন থেকে এম. আর. সি. এস করলেন ১৮৪৮ সালে। ১৮৪৯ সালে এম.বি. এবং এম.ডি. করলেন লন্ডন থেকেই৷ ভারতে এসে ১৮৫০ সালে সহকারী চিকিৎসক হিসেবে কাজ শুরু করেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে৷ ১৮৫৫ সালে যখন আই.এম.এস. পরীক্ষা ভারতীয়দের জন্যে খুলে দেওয়া হয়, তখন তিনি ইংল্যান্ডে গিয়ে পরীক্ষা দেন এবং দ্বিতীয় হন৷ ভারতে ফিরে তিনি ১৮৬৪ থেকে মেডিক্যাল কলেজের মেটিরিয়া মেডিকার অধ্যাপকপদে বৃত হন৷ পরলোকগত হ'ন ইংল্যান্ডে ১৮৭৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর৷
ডা. ভোলানাথ বসু পরে বিভিন্ন স্থানে কাজ করেছেন চিকিৎসক হিসেবে, ১৮৮৫ সালে তাঁর মৃত্যু হয়৷ তাঁর সব সম্পত্তি ব্যারাকপুরে এক ডিসপেনসারি চালাতে খরচ করা হতে থাকে, আজ যেটি বি. এন. বোস হাসপাতাল৷
ডা. গোপালচন্দ্র শীল ভারতে ফিরবার কিছুকাল পরেই কোনো এক দুর্ঘটনায় জলে ডুবে মারা যান৷
ডা. দ্বারকানাথ বসু ফিরে এসে মেডিক্যাল কলেজে অ্যানাটমির সহকারী ডেমোনস্ট্রেটর হিসেবে যুক্ত হন৷
গোপালচন্দ্র শীল এবং ভোলানাথ বসু ফিরে আসার পর শিক্ষা-দপ্তর যে রিপোর্ট তৈরি করেছিল, তাতে বলা হয়েছে :
“But the most remarkable event connected with the progress of education in this country is the return of two more of the medical students who proceeded to England under the charge of Dr. Goodeve.”
প্রিয় ছাত্রদেরকে নিয়ে দীর্ঘ এক প্রতিবেদন লেখে ফেললন অধ্যাপক গুডিভও, যার এক জায়গায় তিনি বলেন-
“These young men are now Members of the Royal College of Surgeons of England, both Bachelors, and one of them Doctor of Medicine of the London University, the highest professional degree which can be procured in Europe. They have obtained these distinctions not by favour or indulgence, but by severe labor, and by submission to those rigid tests of proficiency, which the highest scientific authorities have devised to regulate their studies, and by which they authorise the admission of candidates to the privilege of exercising the Medical profession……”
আর সেকারণেই তো প্রিয় কৃতি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বারবার গর্বে বুক ফুলে ওঠে প্রিয় শিক্ষকদের। তাই সেদিন সচিব ডা. মোয়াটের প্রতিবেদনেও সেই গর্বের প্রচ্ছন্ন আভাস।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইতিহাসে এই চার ছাত্রের বিলেতযাত্রা, ইংল্যান্ড থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন এক অবিস্মরণীয় ঘটনা, নিঃসন্দেহে। যা পরবর্তীকালে উদ্বুদ্ধ করেছিল কয়েক প্রজন্মকে।২,৩,৪,৫,৬,৭
সুদূরপ্রসারী সেই সাফল্যের রেশ ধরেই মেডিক্যাল কলেজের ইতিহাসে দেখতে পাই আরও বহু অভাবনীয় প্রতিভার বিকাশ, তাদের মূল্যায়ন। দেখতে পাই ডা. দ্বারকানাথ বসুর পাশাপাশি আরেক উজ্জ্বল নক্ষত্র তামিজ খানকে, কলেজের প্রথম গুডিভ বৃত্তি অর্জন করতে। আবার ডা. তামিজ খানের হাত ধরেই পরবর্তীতে উঠে আসবেন আরেক কৃতি ছাত্র, ভবিষ্যতের প্রবাদপ্রতিম ডা. নীলরতন সরকার। রচিত হবে ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষার নতুন ইতিহাস। এ ইতিহাস ফুরোবার নয়, এ যাত্রাপথ থেমে যাবার নয়। সময়ের সাথে আরও প্রগতির পথ দেখাবে এ যাত্রা আগামীর বিদ্যার্থীদের, আগামীর চিকিৎসকদের।
রেফারেন্স:
১) Allen’s Indian Mail, Vol. III, January-December 1845, p. 308.
২) Annual Report of the Medical College of Bengal, Session 1844-45, p. xl-xli. Published in The Calcutta Review, vol. III, January-June, 1845, Calcutta, 1845.
৩) GRPI etc., for 1845-46, pp. 111-112.
৪) GRPI etc., for 1846-47, pp. 74-80.
৫) GRPI etc., for 1847-48, pp. cxlviii, 83-84.
৬) ভারতবর্ষ, আষাঢ়, ১৩৪১, পৃ. ১০৫
৭) Centenary of Medical College Bengal, 1935, pp. 26-28.
তথ্যঋণ ও কৃতজ্ঞতা:
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের গোড়ার কথা ও পণ্ডিত মধুসূদন গুপ্ত | ডা. শঙ্করকুমার নাথ | সাহিত্য সংসদ | চতুর্থ মুদ্রণ, আগস্ট ২০১৯
0 মন্তব্যসমূহ