ad

মাসিক ই-পত্রিকা ‘উৎস’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে(বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)।
অনুগ্রহ করে পত্রিকার ইমেলে আর লেখা/ছবি পাঠাবেন না।

কল্পনার টাইম-মেশিনে বিশ বছর এগিয়ে- এক বিচিত্রতম কোয়ালিশন দুনিয়ায় - সুভাষ কর

কল্পনার টাইম-মেশিনে বিশ বছর এগিয়ে- এক বিচিত্রতম কোয়ালিশন দুনিয়ায়

আজ থেকে প্রায় বিশ বছর পর; ১৫ই আগষ্ট ২০৪১; সকাল পৌণে আটটা। দেখতে পাচ্ছি- কিছুক্ষণ বাদেই দিল্লীর লালকেল্লায় ভারতের চুরানব্বইতম স্বাধীনতাদিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবার বিশাল আয়োজন। পতাকা উত্তোলন করবেন মাত্র দশ দিন আগে শপথ নেওয়া দেশের নির্বাচিত নতুন প্রধানমন্ত্রী (দ্বাত্রিংশত্তম)। তিনি পূর্বতন একত্রিংশত্তম প্রধানমন্ত্রী শ্রী সম্মোহন ত্রিবেদীর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। এই প্রথম নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্যে সরকারীভাবে দেয় একটি অন্য নাম ঠিক করা হচ্ছে। সে প্রসঙ্গে একটু পরে আসছি।

 পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী শ্রীত্রিবেদীজী কিন্তু অনেক কসরৎ করে, একাধিকবার গোটাকয় দলের সমর্থন প্রাপ্তি ও প্রত্যাহারের পুনর্বিন্যাস ও সমন্বয়ের ধকল সহ্য করে ইদানীংকালের রেকর্ড মেয়াদকাল প্রধানমন্ত্রীর আসনটি ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন (প্রায় এক বছর এক মাস)। তবে শেষ অব্দি মাত্র সাতটি আসন পাওয়া দক্ষিণের আঞ্চলিক শরিকদলটির মাত্রাতিরিক্ত আবদার সহ্য করতে না পারায় অকাল-নির্বাচন অবধারিত হয়ে পড়েছিল। গোপন সূত্রে খবর, দক্ষিণের ওরা নাকি দলীয় রাজ্যনেতাদের অধিক সংখ্যায় মন্ত্রিত্ব দেবার বাধ্যবাধকতা থেকে সাতাশ বৎসর আগে নতুন গঠিত রাজ্যটিকে আরো টুকরো করবার প্রতিশ্রুতি চেয়েছিল, যা মেনে নেয়ার সাহস শ্রীত্রিবেদীজী দেখাতে পারেননি।

 

প্রসংগত উল্লেখ্য, বিগত দেড়দশক ধরে দেশে কেন্দ্রীয় সরকার নামক রাষ্ট্রযন্ত্রটি স্থায়িত্বের প্রশ্নে একটা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে চলেছে। নব্বইয়ের দশকে দেশে ক্ষণস্থায়ী বহু মিলিজুলি সরকার একের পর এক দেখা যাবার পর অবশেষে ১৯৯৯ থেকে বেশ কয়েক বছরব্যাপী দীর্ঘ সময় ধরেই পরপর দু'টি বড় রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে তৈরী গুটিকয়েক দলের বিশেষ দু'টি ভিন্ন গোষ্ঠীই স্থায়ীভাবে সরকার পরিচালনা করতে পেরেছিল। তারপর দেশবাসী আবারো সেই আগের মতোই মিলিজুলি অস্থায়ী সরকার দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে, যাদের চেহারাছবি আগের থেকেও বিচিত্রতর।

 ইতিমধ্যে দেশে রাজনৈতিক পটভূমির অনেকটাই পরিবর্তন ঘটে গেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে অনেক অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তও নিতে হয়েছে। সাম্প্রতিক অকাল-নির্বাচনের প্রাক্কালে এই জুনমাসেই পূর্বতন পার্লামেন্টের শেষ অধিবেশনে আপতকালীন তৎপরতায় তেমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তটি হ'ল- এখন থেকে খুব ছোট ছোট দল মিলে সরকার গঠন করলে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শুধু নিজের একক নামটি আর ব্যবহার করতে পারবেন না; তার জায়গায় কোয়ালিশন সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনসূচক একটি সংযুক্ত তথা মিশ্র-নাম ব্যবহার করতে হবে। সিদ্ধান্তটি ধ্বনি-ভোটে পাশ হয়। আরো ঠিক হয়, শপথগ্রহণের একপক্ষ কালের মধ্যেই এই সরকারী মিশ্র-নামকরণ চূড়ান্ত করে সরকারীভাবে ঘোষণা দিতে হবে, অবশ্যি যদি ততদিন অব্দি সরকারটা টিঁকে যায়।

 সার্বিকভাবে আইনটি পাশ করানোর লক্ষ্য ও প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল- কখন কতগুলি এবং কোন্‌ কোন্‌ দলের প্রত্যক্ষ সমর্থনে তথা দায়িত্বে সরকার চলছে তা বুঝতে জনগণ যাতে কোন অসুবিধেয় না পড়ে, সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। সে যাই হোক, দশদিন আগের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শ্রীত্রিবেদীজীই ছিলেন কোয়ালিশনের সরকার গঠন করে  নিজের পূর্ণ নাম এককভাবে ব্যবহারের সুযোগপ্রাপ্ত সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী।

 মিশ্র-নামটি তৈরীর ক্ষেত্রে একটি সর্বসম্মত ফর্মূলাও গৃহীত হয়। প্রথমেই রাখা হবে ব্যক্তি-প্রধানমন্ত্রীর পৈত্রিক নামটির প্রধান অংশ। তারপর একে একে থাকবে সরকারে যোগ দেওয়া সবকটা দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নাম বা পদবীগুলো। অবশ্যি কোন দল বাইরে থেকে সমর্থন করলে তার নেতৃত্বের নাম ঐ মিশ্র-নামে স্থান পাবে না। রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়ে শপথগ্রহণের প্রচলিত বয়ানও আংশিক পাল্টানো হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্দ্দিষ্ট কোন ব্যক্তির একক নামোল্লেখের কোন তাৎক্ষণিক অপরিহার্যতা রাখা হয় নি। তবে আবার কখনো কোনদিন যদি দৈবাৎ এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কোন দল ক্ষমতায় চলে আসে, তখন একক নাম ব্যবহার করার আগের নিয়মটিই পুনর্বহাল ও কার্যকরী হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা হয়েছে।

প্রথমে ঠিক হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর মিশ্র-নামটিতে শরিক দলগুলোর সর্ব্বোচ্চনেতাদের নাম তাদের দলের পাওয়া সীটের সংখ্যানুযায়ী এক এক করে সীটসংখ‍্যার ক্রমহ্রাসানুসারে সাজাতে হবে, যাতে দলগুলোর তুলনামূলক শক্তি স্পষ্ট বোঝা যায়। পরে অবশ্যি পার্লামেন্টের সাংস্কৃতিক কমিটির সুপারিশে তা বাতিল হয়; কারণ সেক্ষেত্রে মিশ্র-নামটির শ্রুতিমাধুর্য বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়। তাই অপেক্ষাকৃত বেশী সীটপ্রাপ্ত দলগুলো গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে গোঁ ছাড়তে রাজী হয় এবং নিজেদের শক্তি বোঝানোর চুলচেরা হিসেবের ঊর্ধ্বে উঠে উচ্চারণের সুবিধে এবং ধ্বনিগত সাযুজ্যকেই মেনে নেয়; এমনকি জনগণের মস্তিষ্কে অযথা চাপ কমাতে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর নামটির গঠনে সহজ সন্ধি-সমাসের প্রয়োগও চলতে পারে বলে ঐক্যমত গঠিত হয়।

আজ একটু পরেই যিনি শপথ নিতে যাচ্ছেন, সেই নতুন প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ঠিক কোন্‌ নামে পরিচিত হবেন, তা কিন্তু এখনো সরকারীভাবে ঘোষিত হয়নি। তবে দুএকদিনের মধ্যেই সেই ঘোষণা সম্ভব হয়ে যাবে বলে বিশ্বস্তসূত্রে প্রকাশ। অবশ‍্যি ইতিমধ্যেই ওয়াকিবহাল মহলে জোর ধারণা, নতুন নিয়ম মেনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নাম হতে চলেছে- শ্রী হরিদাসা চন্দ্রোপাধ্যায় তেজস্বীরাও করুণাপালানিস্বামী মায়াজ্জাদব মুফতিরোবিন্দ পাওয়ারাব্দুল্লা। নামটা বড্ড লম্বা শোনাচ্ছে বটে, কিন্তু শরিকদলের অতিরিক্ত সংখ্যাধিক্য এবং দেশব্যপী বিস্তৃত অঞ্চলভেদে মনুষ্যনাম গঠনে শব্দের ও ঢংয়ের বিরাট তারতম্য থাকায় গৃহীত ফর্মূলাটি মেনে ঐটি ছাড়া আর কোন উপায়ান্তর নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের অভিমত এই যে, সুবিশাল এই দেশের কোন সচেতন নাগরিকই প্রস্তাবিত নামটা শুনে হয়তো জ্ঞান হারাবেন না, কারণ এই ভারতেরই দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও নাকি এধরণের বড় বড় নাম বহুলপ্রচলিত।

 আবেগপ্রবণ বাঙালীদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে জ্ঞাতব্য, নতুন প্রধানমন্ত্রীর হবু নামের প্রথম দিকটায় বাঙালী বাঙালী ইংগিত আছে বটে, কিন্তু বাঙালী প্রধানমন্ত্রী পাবার গুড়ে আবারো বালি। বড় সীটসংখ‍্যার এই খরার দিনে পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ সংখ‍্যক সীটের অধিকারী হয়েও (ছাব্বিশ, যা শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ থেকেই পাওয়া) স্বঘোষিত সর্বভারতীয়দলটির সাদাসিধে বাঙালী চেয়ারপার্সন আবারো বঞ্চনার শিকার। বিপরীতে, মাত্র পাঁচটি আসন পাওয়া আসাম রাজ্যের নবগঠিত আঞ্চলিক দল টি.ডি. এ (এস) বা ট্র্যান্সফর্ম্ড ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স (সেকুলার)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- একদার বিভ্রান্ত বিপ্লবী’- বর্তমানের পার্লামেন্টারি রাজনীতিতে সদ্য উঠে আসা এক প্রগতিশীল মুখ- যার পিতৃদত্ত নাম শ্রী হরিদাসা কাকতি- তিনিই এখন ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নতুন প্রধানমন্ত্রী।

এবারও কিছুটা তাক লাগিয়ে এককভাবে দু'শর সামান‍্য কিছু বেশী আসনে জিতে যাওয়া 'অহঙ্কারী ও অশুভ' দলটির কবল থেকে দেশকে বাঁচাতে এহেন গোঁজগাজার সুরক্ষাকবচ ছাড়া 'উদার ও শুভশক্তিসম্পন্ন' দলগুলোর কাছে নাকি আর কোন রাস্তাই খোলা ছিল না! তাই আসামের প্রাক্তন জঙ্গী নেতা শ্রীহরিদাসাজীকেই তাদের বেছে নিতে হয়েছে। মূলস্রোতে আত্মপ্রকাশের আগে শ্রীহরিদাসাজী অবশ্যি অন্য একটা ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন, তবে সেটা বর্তমানে অপ্রাসঙ্গিক বলে অনুল্লিখিতই রাখছি। অবশ্যি অত্যুৎসাহী বাঙালীরা কিছুটা আত্মতৃপ্তি পেতেই পারেন, কারণ এবারের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বাংলার অপেক্ষাকৃত নিকটতর প্রতিবেশী একটি রাজ‍্যের জলহাওয়ায় বড় হওয়া একজন মানুষ!

এদিকে দীর্ঘদিন সংসদীয় গণতন্দ্রের প্রতি দায়বদ্ধ, বর্তমানে পার্লামেন্টের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দলটিকে কিন্তু এখন নজিরবিহীন উদারতা দেখাতে হচ্ছে। শাসকপক্ষের তিন শরিকদলের থেকে বেশী আসন পাওয়া সত্বেও প্রধানমন্ত্রীর পবিত্র মিশ্র-নামটি থেকে তাদের নেতৃত্বের নামচিহ্নটুকু কোয়ালিশন সংস্কৃতির স্বার্থে ওরা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন, কারণ তারা এবারও সরকারকে শুধু বাইরে থেকেই সমর্থনকারী। তাই দলটির চিরকালের সম্বল, দেশের সেই বিশেষ ঐতিহ্যবাহী পদবীটির কোন ছাপই প্রধানমন্ত্রীর ব্যবহৃতব্য নতুন নামটির মধ্যে নেই। তবে হ্যাঁ, সাকুল্যে পাঁচটি আসন পাওয়া আসামের শ্রীহরিদাসাজীকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বসাতে পারা এবারও এই পারদর্শী চৌকশ দলটিরই এক সুকৌশলী সাফল্য- অনেকটা বিগত শতকে নব্বুই-এর দশকের প্রথমদিকে কর্ণাটক থেকে খুঁজে নেওয়া প্রতিযোগীবিহীন সেই নিরীহ প্রধানমন্ত্রীকে আবিষ্কারের মতোই। তবে জনমত এই যে- রাজা বানানো দল বা তার নেতা/ নেত্রীর প্রতি আনুগত্যভরা গোপালসুলভ প্রতিদানী আচরণের মাপকাঠিতে নাকি আগের জঙ্গীপনা ও ঔদ্ধত‍্য ত‍্যাগ করা আজকের এই নতুন প্রধানমন্ত্রী অনেক এগিয়ে। একমাত্র চৌত্রিশ বছর আগে পাঞ্জাব থেকে পাওয়া পরপর দুটি পূর্ণ মেয়াদের প্রধানমন্ত্রীর সাথেই এবিষয়ে তার অধুনা-অর্জিত আনুগত‍্যের তুলনা চলতে পারে, যদিও দুজনের বিদ্যার ফারাক কিন্তু আকাশপাতাল।

দূর থেকে লালকেল্লার শীর্ষে জাতীয় পতাকার আশু দায়গ্রহীতা দণ্ডটির দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম- আফশোস করে কোন লাভ নেই। বিগত পনের বছরে কেন্দ্রীয় সরকার বারবার ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে চলায় ভারতের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা তথা পার্লামেন্টের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যবহার্য মিশ্র-নাম ইস্যুটিতে যুগোপযোগী হস্তক্ষেপ করা ছাড়া আর কি বিকল্পই বা খোলা ছিল? এতসব করেও পরপর তৈরী সরকারগুলোকে হাতে গোনা কয়েক মাসের বেশী টেঁকানো যাচ্ছে কৈ? মিলিজুলির খেলায় কখন কে যে কোন্ দিক থেকে ফায়দা তোলার জন‍্যে বড়শির ফাৎনার ওৎটি পেতে বসে থাকে তার কি কোন ঠিক আছে?

এতক্ষণে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ শুরু হয়ে গেছে। মাননীয় নতুন প্রধানমন্ত্রীজী ডায়াসের দিকে এগুচ্ছেন। মহাভারতের সঞ্জয়ের মত দেখতে পাচ্ছি- নেতাদের অনুশীলিত পরনিন্দা, দ্বেষ আর শ্লেষাত্মক মন্তব্যের কু-অভ্যাস ছাপিয়ে জনতার লক্ষ লক্ষ কন্ঠ যেন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। উত্তোলনের জন্যে প্রস্তুত তেরঙা পতাকার নীচে দাঁড়িয়ে জাতীয়-সংগীত গাইবার জন্যে তারা হৃদয়ের সবটুকু শ্রদ্ধা নিয়ে জড়ো হয়েছেন। চলমান প্রবণতায় শ্রীহরিদাসাজী হয়তো মাত্র একবছর বাদে, মানে ২০৪২- এর ১৫ই আগষ্ট-ই লালকেল্লা থেকে তেরঙ্গা তোলার অধিকার হারিয়েও ফেলতে পারেন, কিন্তু বহু-আকাঙ্ক্ষিত সেদিনের সেই সোনার ভারত গড়তে আবহমান কাল অব্দি এই পতাকা পাহারা দিয়ে বয়ে নিয়ে যাবার দায়িত্ব তো এই বৃহত্তর আপামর জনগণের সজাগ চোখের উপরই বর্তায়।

 

(আবারো টাইম-মেশিনে বিশ বছর এক মাস পিছিয়ে এসে আজ পরিবেশিত।)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ